প্রসেনজিৎ ধর :- পশ্চিমবঙ্গে এবার খোঁজ পাওয়া গেল হেরোইন তৈরির কারখানার | শুক্রবার রাতে কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হেরোইন তৈরির কারখানার খোঁজ পায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ | প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী গোলাম মোর্শেদের প্রাসাদ সম বাড়িতে চলছিল হেরোইন তৈরির কাজ | এই ঘটনায় গোলাম মোর্শেদসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ | জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স ও কাটোয়া থানার পুলিশ প্রথমে হানা দেয় রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ গোলাম মুর্শেদের বাড়িতে | মুর্শেদ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী বলে জানা গিয়েছে | তিনি পাঁচ বছর আগে অবসর নেন | গ্রামের একধারে মাঠের কাছে বিলাসবহুল বাড়ি | গোলাম মুর্শেদের ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয় | পাশাপাশি গোলাম মুর্শেদ শেখ ও তার তিন সহযোগীকেও সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয় | জানা গিয়েছে, তিন সহযোগীর মধ্যে রয়েছে আঙুর আলি, মিনারুল শেখ ও মিঠুন শেখ | মিঠুনের বাড়ি কাটোয়ার আলমপুর | বাকি দু’জন নদিয়া জেলার বাসিন্দা | পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলাম মোর্শেদ দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত| সেই খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে রাজুয়ায় তাঁর বাড়িতে হানা হেয় পুলিশ ও এসটিএফ| আর বাড়ির ভিতরে ঢুকে আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ | রীতিমতো হেরোইন তৈরির কারখানা চলছিল ওই বাড়ির ভিতরে |
হেরোইন তৈরির জন্য ২ জন দক্ষ ব্যক্তিকে মোটা বেতনে নিয়োগ করেছিল সে সঙ্গে তৈরি হয়েছে হেরোইন তৈরির কাঁচামাল মরফিন ও অন্যান্য সামগ্রী |জানা গিয়েছে, গোলাম মুর্শেদের এক আত্মীয় দুবাইয়ে থাকেন | সেই ব্যক্তিও এই চক্রে জড়িত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা | তবে গ্রামবাসীদের দাবি ওই প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে এভাবে মাদকের ভাণ্ডার গড়ে উঠেছিল তা আদৌ জানতেন না প্রতিবেশীরাও | এমনিতেই বাইরের লোকজন সচরাচর ওই বাড়িতে ঢুকতে পারতেনও না বলে স্থানীয়রা জানান |পুলিশের দাবি, মোর্শেদের বাড়িতে তৈরি হেরোইন বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হত | এই কারবার করে মোটা টাকা রোজগার করেছে সে | তার কারখানায় তৈরি হেরোইন কোথায় কোথায় পাচার হয়েছে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা | এই ঘটনায় হতবাক নির্জন রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দারা |