দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- হাসপাতাল থেকে মরণঝাঁপ রোগীর | মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার করেন তিনি | তাঁর মৃত্যুতে তীব্র উত্তজনা ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে | তবে কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে এমন কাণ্ড ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন | মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সাবেরা খাতুন (২৬) | বাড়ি রতুয়া থানার মাগুরা এলাকায় | বৃহস্পতিবার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে যান তিনি | সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা | মৃতের দাদা মুরশেদ রহমানের কথায়, “বোনকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম | বোন আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন | ওকে নিচে বসিয়ে কুপনের জন্য ছ’তলায় গিয়েছিলাম | সেইসময় আচমকা হাসপাতালের ছয়তলার ছাদে উঠে পড়ে | সেখান থেকেই পড়ে যায় নিচে |”তড়িঘড়ি সাবেরাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন | তবে ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি কোনওভাবে পড়ে গিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয় | এই ঘটনায় হাসপাতালকেই কাঠগড়ায় তুলেছে রোগীর পরিবার | মৃত রোগীর আত্মীয়দের কথায়, “ছাদের দরজা যদি তালাবন্দি থাকতো, তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না |” অভিযোগ, হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিলেন না | ফলে সহজেই ছাদে উঠতে পেরেছিলেন ওই তরুণী | মালদহ মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা বলেন, “ওই যুবতীর মানসিক সমস্যা ছিল | তার জন্যই ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন | সম্ভবত মানসিক সমস্যা থেকেই বারান্দা থেকে তিনি ঝাঁপ দেন |” প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হাসপাতালের ৭ তলায় বারান্দা থেকে হঠাৎ করেই ঝুঁকতে দেখা যায় যায় ওই যুবতীকে | যুবতীর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা নীচে থেকেই চিৎকার করে সরে যেতে বলেন | এর মধ্যেই ওই বারান্দা থেকে একেবারে নীচে হাসপাতাল চত্বরে রাস্তায় পড়ে যান ওই যুবতী | ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় | তবে যুবতীর বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার যে কারণ থাকুক, গোটা ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে |