দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ২০১১ সালের পর থেকে কাদের নিয়োগ করা হয়েছে, এবার সেই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর সেই কারণে এবার রাজ্যের কাছ থেকে নথি চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যের সব জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারম্যানকে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের জয়েন্ট ডিরেক্টর ও ডেপুটি ডিরেক্টরের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে এই তথ্য তলব করা হয়েছে। ইডির চিঠি পাওয়ার পর পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির কাছ থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১১ সালের পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের রোল নম্বর, কোন স্কুলে তাঁদের নিয়োগ হয়েছে, সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। জানাতে হবে চাকরিপ্রার্থীর নাম, টেট রোল নম্বর, বাবার নাম, কোন ক্যাটাগরিতে চাকরি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, এবং কোন বছরে চাকরি তা।
স্রেফ ২০১৭ সালের টেটের দ্বিতীয় মতালিকা বেআইনি ঘোষণা নয়, দুর্নীতি মামলায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে ইডি। বস্তুত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেদিন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও তল্লাশি হয়। এরপর ২৫ জুলাই সিজি কমপ্লেক্সেও ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিককে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির শিকড়ে পৌছে চাইছেন তদন্তকারীরা।