প্রসেনজিৎ ধর :- গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর তৎপরতার অভাব নেই। বুধবার গণেশ চতুর্থীর দিন ভোরে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের প্রতিনিধিদল কলকাতা থেকে বোলপুরে পৌঁছে যান। তারপরেই তল্লাশি শুরু করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এখানেই শেষ নয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওই তৃণমূল কাউন্সিলরকে আটকও করেছে সিবিআই। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বিশ্বজ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। জেরা শেষে তাঁকে আটক করে সিবিআই আধিকারিকরা।এলাকায় অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত বিশ্বজ্যোতি। সিবিআই সূত্রে খবর, বিশ্বজ্যোতি অনুব্রতর একাধিক সম্পত্তি দেখভাল করতেন। গত কয়েক বছরে এই কাউন্সিলারের সম্পত্তিও অস্বাভাবিক গতিতে বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বোলপুরের উকিল বটিতে সুজিত দে নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। তিনিও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বাড়িতেও তল্লাশি চলছে।জানা গিয়েছে, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি সিবিআইয়ের হাতে এসেছে বলে খবর। তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর যে ১৭ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টও। অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের টাকা ওই কাউন্সিলরের নামে রাখতেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় দু’ঘণ্টা বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে ছিলেন তদন্তকারীরা। এরপর কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে বের হন তাঁরা। গাড়িতে করে রওনা দেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আটক করা হয়েছে বিশ্বজ্যোতিকে। তবে এ বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা এখনও মুখ খোলেননি। সূত্রের খবর, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসে খতিয়ে দেখা হবে কাউন্সিলরের আয়-ব্যায়ের হিসেব। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে। যদিও গোটাটাই এখনও অনুমান। সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।