Breaking News

নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাইয়ের উপর ‘হামলা’র অভিযোগ,অবস্থা আশঙ্কাজনক!

প্রসেনজিৎ ধর :- চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হাওড়ার আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানকে পুলিশ খুন করেছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল তার পরিবার। এবার আনিস খানের খুড়তুতো ভাই সালমান খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতেই সালমানের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে সিসিইউ বিভাগে ভর্তি রয়েছেন সালমান।দাদার মৃত্য়ুর পর অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সরব হওয়াতেই ভাই সলমানের উপরে হামলা। এমনটাই বলছেন আমতার নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের পরিবার।শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ সালমানের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মাথার পিছনের দিকে একাধিক অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে গেলে তাঁর স্ত্রী এসে সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরিবারের লোকজন সালমান খানকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে সালমানের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।পরিবারের দাবি, আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে প্রথম সারিতে থাকতেন সালমান। মৃত ছাত্র নেতা আনিস খানের বাবা সালেম খানের দাবি, আনিস হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী হওয়ায় সলমনকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার সালমানের উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় যারা সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন এই সলমান খান। আনিসের দেহ নেওয়া থেকে শুরু করে ময়না তদন্ত সব জায়গাতেই ছিলেন সলমান। এছাড়া আনিস খানের খুনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির ব্যপারেরও সরব ছিলেন সলমন। সেই কারণে সে এখন টার্গেট। এমনটাই দাবি পরিবারের। উল্লেখ্য ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। আনিসের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করুক সিবিআই, এমনটাই দাবি করেছেন তার পরিবার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবিতে অনড় আনিসের বাবা সালেম খান। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে আনিসকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করার অভিযোগ ওঠে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে|

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *