Breaking News

‘যুবকরা ড্রাগসের নেশা করত, একজন N-10 ট্যাবলেট খেত’, বাগুইআটি জোড়া খুন নিয়ে বিস্ফোরক সৌগত রায়!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বাগুইআটিতে নিহত ২ কিশোরকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর দাবি নিহতদের মধ্যে অন্তত ১ জন ড্রাগের নেশা করত। সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কী করে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা পায় একটি ১৬ বছরের ছেলে।রবিবার বরানগর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রকাশ্যে বাগুইআটি জোড়া খুন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘খুন হওয়া দু’জন যুবক ড্রাগসের নেশা করত, N-10 ট্যাবলেট খেত।’ প্রকাশ্যে অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি আরও বলেন, ‘একজন ছেলে পঞ্চাশ হাজার টাকা বাইক কেনার জন্য কোথা থেকে পায়? আমি হলে পারতাম না। ছেলেরা ভুল পথে যাচ্ছে। আমরা চাইছি সেই সমস্ত ছেলেদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে আনতে। ছেলেরা এমন কিছু না করুক যাতে বাবা মাকে লজ্জিত হতে হয়।’এর আগে এই খুন প্রসঙ্গে সৌগত বলেন, ‘বাগুইআটিতে আমারই কেন্দ্রে একটি ১৫, একটি ১৬ বছরের ছেলে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ফেটে পড়েছিল সেই খুনকে কেন্দ্র করে। ক্ষোভ অনেকটাই পুলিশের বিরুদ্ধে ছিল।’বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর জানা যায়, অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ৫০,০০০ টাকা দিয়েছিল নিহত অতনু দে। কিন্তু মোটরসাইকেল হাতে পায়নি। এই নিয়ে ২ জনের বিবাদের সূত্রপাত। নিহত কিশোরের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, মোবাইলে গেম খেলে ওই টাকা পেয়েছিল অতনু। বিভিন্ন গেম খেলে সেই অ্যাকাউন্ট বিক্রি করত সে। তবে পরিবারের এই দাবি কতটা সত্য তার কোনও প্রমাণ এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়া অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। দু’জনেই বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র। সম্পর্কে তারা তুতো ভাই। ২৪ অগস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করে পরিবার। তার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। প্রায় ১১ দিন পর বসিরহাটের মর্গে পাওয়া গেল দুই ছাত্রের নিথর লাশ। গোটা ঘটনার আংশিক কিনারা করল বিধাননগর পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই খুন করা হয়েছে অতনু ও অভিষেককে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *