প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কয়লা পাচার-কাণ্ডে তলব পেয়ে সোমবার দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। সোমবার দুপুরে মেনকাকে আবারও তলব করেছিল ইডি। এর আগে, রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন মেনকা। সেই মতো রবিবার রাত সাড়ে ১২টার কিছু সময় আগেই আইনজীবী সৌমেন মোহান্তিকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে যান অভিষেকের শ্যালিকা।সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির ‘ভুলে’ হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার কথা ভুল করে লিখে ফেলা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এই ‘ভুল’-এর জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করেছে।গতকাল রাতে মেনকা যখন সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তখন স্বভাবতই ফটকে তালা ঝুলছিল। কর্তব্যরত জওয়ানকে মেনকা বলেন, ‘আমাকে ডেকেছে, তাই এসেছি।’ জওয়ান ফটক খুলে দেন। লিফটে করে ইডির অফিসে গিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করেন মেনকা। এরপর আইনজীবী সমেত নিচে নেমে আসেন মেনকা। এরপর রাত ১২টা ৪০ নাগাদ আইনজীবীর সঙ্গে সিজিও কমপ্লেক্স ছাড়েন অভিষেকের শ্যালিকা।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে বাধা দেয় ইডি। বিদেশ যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় তাকে। একটি মানি লন্ডারিং মামলায় তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য সমন হস্তান্তর করা হয় তাঁকে। রাত ৯টা নাগাদ ব্যাংকক যাওয়ার বিমানে উঠতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন গম্ভীর। তারপরই তাঁকে আটকায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (এলওসি)-ও জারি করে। যার ভিত্তিতেই অভিবাসন দফতর তাঁর ছাড়পত্র প্রত্যাখ্যান করে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাধা দেয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) জানায়। এরপরই ইডি বিমানবন্দরে পৌঁছয়।