দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তলব করল সিআইডি। আগামিকালই আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে ভবানীভবনে ডেকে পাঠিয়েছে রাজ্যের এই তদন্তকারী সংস্থা। কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার সিআইডি সক্রিয়তা ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। জিতেন্দ্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। কয়লাকাণ্ডে এর আগে রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোলের দাপুটে তৃণমূল নেতা মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। তাঁকে তলব করেছিল ইডি-ও। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশেই এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তলব করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আসানসোলে বিজেপির নেতা জিতেন্দ্রকে তলব করেছে সিআইডি। এর মধ্যে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে ভবানী ভবন সূত্রে খবর। সিবিআইয়ের পাশাপাশি সিআইডি-ও কয়লাপাচার মামলার তদন্ত করছে।তদন্তের কাজে আসানসোল-রানিগঞ্জ-কুলটির মতো জায়গা সিআইডির আতসকাচের তলায়। বিভিন্ন তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। বেশ কয়েক জনকে এর মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়। এমনকী ওই এলাকাগুলির বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককেও ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, সেই জিজ্ঞাসাবাদের পরই জিতেন্দ্র তিওয়ারি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগামিকাল তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। জিতেন্দ্র অবশ্য বিষয়টিকে এখনই খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের স্বার্থে যে কোনও কাউকে ডাকতে পারেন। নোটিসে দেখলাম ২০২০ সালের মামলা। এটা তো আসানসোল বা বাংলার যে কোনও ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলেও বলে দেবে কী হচ্ছে। ২০২০ সালের মামলায় ২০২৩ সালে হঠাৎ আমাকে সাক্ষী হিসেবে কেন ডাকা হচ্ছে, এটা তো চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রও বলে দিতে পারবে।’এ বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ”মলয় ঘটককে তলব করা হয়েছে। তারই কাউন্টার হিসেবে এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তলব করা হল। কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমরা ভীত নই। আমাদের নেতা-কর্মীরা যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তৈরি রয়েছেন।”