প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চোখে জল। বুধবার তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানির সময় কেঁদে ফেলেন পার্থ। বিচারককে বলেন, ‘জামিন দিন, বাঁচতে দিন।’১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বুধবার আবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে পার্থকে আদালতে হাজির করানো হয়। ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। পার্থের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। শুনানি চলাকালীন নিজের জামিনের প্রসঙ্গ উঠতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।এদিন আদালতে ইডির আইনজীবীরা জানান, পার্থ-অর্পিতার প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। কিন্তু এই সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন পার্থ। তাঁর কথায়, “ইডি আধিকারিকরা আমার বিধানসভা ক্ষেত্রে এসে দেখুন, আমি কে, আমার পরিবার কী, এত টাকার আমি কী করব? কোথা থেকে আসবে এত টাকা?”এরপরই আদালতে কেঁদে ফেলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। ধরা গলা বলেন, “প্রয়োজনে আমাকে ঘরে আটকে রাখুন। বাড়িতে বন্ধ করে রাখুন। কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিন। আমাকে জামিন দিন।” এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আদালতে পেশ করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। ২ জনেরই জামিনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানায় ইডি।এদিন ভারচুয়ালি হাজির করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। আদালতে স্পষ্ট জানান, তাঁর ফ্ল্যাটে টাকা কোথা থেকে এল, তা তিনি জানেন না। এজলাসে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়ে অর্পিতা জানান, “আমি জানি না, কী করে এমন হল?” বিচারপতি তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আমার বাড়িতে কী হয়েছিল?” জবাবে অর্পিতা জানান, “ইডি যখন আমার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা আমি বেরতেই পারিনি। আমি ৪ ঘণ্টা ছিলাম বাথরুমে। বাকি সময় বেডরুমে ছিলাম। এত নগদ টাকা কী করে বেরল জানি না।” বাড়ির মালিক হওয়া সত্ত্বেও ফ্ল্যাটে থাকা নগদ সম্পর্কে জানতেন না, অর্পিতার এমন দাবিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। বলেন, “আপনার ফ্ল্যাট অথচ সেখানে টাকা কীভাবে এল তা জানতেন না?” জবাবে অর্পিতা জানান, আমার নামে দু’টি এন্টারটেইনমেন্টের সংস্থা আছে। সেখান থেকেই আয়।”গত ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি |