দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের গ্রাহকদের জন্য বড় খবর। এই বিলের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে। বিধানসভায় এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এখন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের গ্রাহকরা প্রতি ৩ মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল দিয়ে থাকেন। তবে সেই নিয়মে পরিবর্তন হতে পারে। বুধবার বিধানসভায় বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘গ্রাহক, জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে এব্যাপারে ভিন্নমত পেয়েছি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। বিধানসভায় তেমনই ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন তিনি বলেন, কলকাতার মতো বাকি রাজ্যেও প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। বর্তমানে প্রতি ৩ মাস অন্তর বিল পৌঁছয় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম এলাকার গ্রাহকদের কাছে |এদিন বিধানসভায় বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘গ্রাহক, জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে এব্যাপারে ভিন্নমত পেয়েছি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার ১১১ – ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হচ্ছে।’ কলকাতা পুরসভার এই ওয়ার্ডগুলি রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের অধীন। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম এলাকায় কলকাতার মতো মাসিক বিল চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। বর্তমানে সেখানে ৩ মাস অন্তর বিল পাঠানো হয়। এর ফলে বাড়তি বিল দিতে হয় বলে দাবি গ্রাহকদের একাংশের। একসঙ্গে অনেক ইউনিটের বিল চোকাতে হওয়ায় প্রতি ইউনিটের দাম পড়ে বেশি। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম এলাকায় মাসিক বিল চালুর দাবিতে আন্দোলন করছে গ্রাহকদের সংগঠন।প্রসঙ্গত, গত মাসে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের সরবেড়িয়ায় অশান্তি হয়। সেবার চুরির অপরাধে ক্ষতিপূরণ বিল পাঠিয়েছিল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদে| তারপরই বিদ্যুৎ দফতরের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে হানা দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। নিগ্রহ করা হয় দফতরের আধিকারিকদের। চারজন কর্মচারীকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলেও অভিযোগ |