প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট ও ফরেন্সিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। বুধবার মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট পেশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। আর রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘অকল্পনীয় দুর্নীতি, সাধারণ মানুষকে শিহরিত করবে।’কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট দেখে বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই কোর্টে জানিয়েছে, ”সুনির্দিষ্ট পথে এগোচ্ছে তদন্ত। শেষ পর্যায়ে রয়েছে তদন্ত। প্রাথমিক নিয়োগে অকল্পনীয় দুর্নীতি হয়েছে। পরীক্ষা না দিয়েই নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরিতে ঢোকানো হয়েছে অনেককে।”এদিন যে রিপোর্ট সিবিআই জমা দিয়েছে, তা কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা ছাড়া জানেন শুধু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, ”যেভাবে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে শিক্ষক নিয়োগে। তা জানলে মানুষ শিহরিত হবেন।” ২০ জুন কলকাতা হাইকোর্টে কিছু নথি পেশ করেছিল পর্ষদ। যা জাল করা হয়েছে আশঙ্কা করে ফরেনসিকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই পরীক্ষার ফরেনসিক রিপোর্টে দিল্লির কর্তারা কোনও সিদ্ধান্তে অবতীর্ণ হতে পারেননি। নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এই রিপোর্ট কত পুরনো। সিবিআই জানিয়েছে, তারা তদন্তের শেষ পর্যায়ে রয়েছে দ্রুতই জানানো হবে সবটা। সঙ্গে এদিন আদালতে ওএমআর শিটের ফরেন্সিক রিপোর্ট পেশ করে আদালত। দিল্লি সিএফএসএল এর সেই রিপোর্টে ওই কাগজ কবে তৈরি করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। ওদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের ১০ আত্মীয়ের চাকরির নথি মামলাকারীর আইনজীবী পরীক্ষা করবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৭ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে গিয়ে এই রিপোর্ট তাঁরা পরীক্ষা করবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।