প্রসেনজিৎ ধর :- সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিপুল স্বস্তি ১৯ নেতা-মন্ত্রীর। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ১৯ নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তির বৃদ্ধি নিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে । সেই মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বর্ণকমল সাহা। তৃণমূলের হয়ে এই মামলা করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল । তাতেই এদিন শুনানি শেষে ইডিকে যুক্ত করার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।২০১৭ সালে তৃণমূল ১৯ নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। আবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১১ সাল থেকে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী কয়েকগুণ বেড়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি। এই মামলায় আগেই পার্টি ছিল আয়কর দফতর। এর আগে এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজশ্রীর বেঞ্চ। সেই মামলায় এর আগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়েই স্পষ্ট, বিজেপির কুৎসার চক্রান্ত ব্যর্থ হল।’’ পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই মামলা দায়ের করার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। ঠিক সময় সমস্ত কিছুর উপর থেকে পর্দা উঠবে। সত্য প্রতারিত হতে পারে, কিন্তু পরাজিত হয় না।’’প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ১৯ জন নেতার সম্পত্তি কী হারে বেড়েছে, তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই মামলায় ইডিকেও পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বর্ণকমল সাহা-সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতা। সেই মামলাতেই হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখনও পর্যন্ত মামলায় জমা পড়া নথিতে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে পুজোর আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে স্বস্তি পেল তৃণমূল নেতৃত্ব।