প্রসেনজিৎ ধর :- লালগোলার আত্মঘাতী চাকরি প্রার্থী আব্দুর রহমানের মরদেহ শুক্রবার সকালে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালো লালগোলা থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার লালবাগের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আত্মঘাতী যুবকের যে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই কবরস্থ করা হয় তা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিওগ্রাফি করে কবর থেকে তুলতে হবে এবং ময়নাতদন্ত করতে হবে।প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার জন্য সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও মেলেনি চাকরি। এর জেরে অবসাদে আত্মঘাতী হলেন মুর্শিদাবাদের লালগোলার এক যুবক। আত্মঘাতী যুবকের নাম আব্দুর রহমান শেখ, বয়স ২৫ বছর। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার। ঘটনার পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন আব্দুরের বাবা মুফিজুদ্দিন শেখ। আব্দুরের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতারও করেছে বলে জানা গিয়েছে। এর পিছনে বড় কোনও প্রতারণা চক্র জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তারা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় মাস আগে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার জন্য সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়েছিল আব্দুর। তবে দীর্ঘদিন বাদেও চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে যায় সে। এর জেরে বিষপান করে আত্মঘাতী হয় সেই যুবক। পরে পুলিশের তরফে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে তা ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ঘটনায় সাগরদিঘি থেকে গ্রেফতার মিডলম্যান রেহেসান শেখ। ধৃতের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জানা গিয়েছে, ছয় মাস আগে দিবাকর কনুই নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আব্দুরের। রেহেসানের মাধ্যমেই দেখা হয় দুই জনের। এরপর প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে দফায় দফায় মোট সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা নেয় দিবাকর। তবে চাকরি না হওয়ায় সেই টাকা ফেরতা চাইতে গেলে হুমকির সম্মুখীন আব্দুর। এরপরই অবসাদে মঙ্গলবার বাড়ির কাছে চাষের জমিতে আত্মঘাতী হন আব্দুর |