Breaking News

কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি: বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে তলব সিআইডির!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে ফের তলব রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।আগে একাধিকবার তলব করা হলেও এই প্রথমবার সিআইডি তলবে ভবানীভবনে এলেন তিনি। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে তাঁর মেয়েকে সেখানে নিয়োগ করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়ে মৈত্রেয়ী দানাকেও দু’বার জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। কিন্তু একাধিকবার সিআইডি নীলাদ্রি শেখর দানাকে নোটিস পাঠালেও হাজিরা দেননি তিনি। প্রসঙ্গত তদন্তে নেমে এর আগে গত আগস্ট মাসে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিআইডি। ওই দিন বিজেপি বিধায়কের মেয়ে মৈত্রী দানাকে জেরা করে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সিআইডি সূত্রে দাবি, মৈত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে তথ্যে রয়েছে অনেক ফারাক। উল্লেখ্য, এইমস নিয়োগ তালিকায় মৈত্রীর নাম ছিল শেষের দিকে। প্রাপ্ত নম্বর ছিল ২০। মৈত্রীর দাবি ছিল, তাঁর বাবা কখনও কল্যাণী এইমসে যাননি। এদিকে সিআইডি আধিকারিকরা এইমসে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়ের সঙ্গেই বিধায়ক এসেছিলেন এইমসে। আরও জানা গিয়েছে, বিধায়ক এসে দেখা করেছিলেন এইমসের এক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে। সূত্রের খবর, মেয়েকে চাকরি দেওয়ার ‘সুপারিশ’ করেছিলেন বিধায়ক। এইমসের দাবি, ওই পদে নিয়োগ করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই মামলায় চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনুসূয়া ঘোষকে আগেই জেরা করেছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা। এবার মঙ্গলবার নীলাদ্রিশেখর দানাকে তলব করল সিআইডি।প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। কল্যাণী এইমস যেহেতু কেন্দ্রীয় সংস্থা তাই কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি করে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে সিআইডিকে তদন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই সোমবার বিকেলে সিআইডির তরফে নোটিস পাঠানো হয় নীলাদ্রি শেখর দানাকে।প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কল্যাণী এইমসের নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের পদে চাকরি পান বিধায়কের মেয়ে মৈত্রী। তিনি কাজে যোগ দেওয়ার পরে বিজেপিরই এক নেতা অভিযোগ তোলেন যে মৈত্রীকে সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে। মৈত্রী যেহেতু বিজেপি বিধায়কের মেয়ে তাই তাঁকে কোনও পরীক্ষা দিতে হয়নি।কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এই হাসপাতালে নেতারা তাঁদের আত্মীয়দের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই অভিযোগ|

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *