প্রসেনজিৎ ধর :- দশমীর দিন জলপাইগুড়ির মাল নদীতে বিসর্জনের সময়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর এই প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |প্রশাসনিক স্তর থেকে কোনও ঘোষণা হয়নি এই বিষয়ে। তবে সূত্রের দাবি, হড়পা বানে মৃতদের পরিবার এবং আহতদের কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।বিজয়া দশমীর রাতে মাল নদীতে বিসর্জনের সময় ভয়াবহ হড়পা বান আসে। বিসর্জন উপলক্ষে সেখানে জড়ো হওয়া একাধিক দর্শনার্থী ভেসে যান। মৃত্যু হয় আট জনের।নিহতদের পরিবার পিছু দু’লাখ টাকা এবং একজনকে চাকরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী|তবে সশরীরে সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর এই প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী|মালবাজার পুরসভা এবং প্রশাসনিক স্তরের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর।এই সফর ঘিরে আলাদা প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পর প্রশাসনিক কর্তাদের কী নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী সেটাই এখন দেখার। প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ১৭ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ সফরে আসতে পারেন। ২০ অক্টোবর তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে। তার মধ্যে ১৭ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর মালবাজারে পৌঁছনোর কথা। ১৮ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মালবাজারে সভা করতে পারেন। প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের পরে, সরকারি সভাও হতে পারে। প্রশাসনিক সভার জন্য মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের সভাঘর বাছাই করা হয়েছে। সরকারি সভা হলে, ওই স্কুলের মাঠে হবে বলে স্থির করা হয়েছে। স্কুলের সভাঘর এবং মাঠের পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।১৯ অক্টোবর শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম এবং কমিশনারেটের মাঠের কোনও একটিতে হবে। এক-দু’ দিনের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে। আগেও মুখ্যমন্ত্রী কমিশনারেটের বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়েছেন। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়ি পুলিশের বিজয়া সম্মিলনী-সহ একাধিক সরকারি অনুষ্ঠানে আসছেন বলে শুনেছি।’’ শিলিগুড়ি পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘এখনও মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত সফরসূচির নথি আসেনি। পুরোটাই টেলিফোন নির্দেশে চলছে। নথি এলেই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।’’ তবে বৃহস্পতিবার থেকেই জলপাইগুড়ি জেলায় প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা কয়েক প্রস্ত বৈঠকও করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বিধায়কের মালবাজারে রিসর্ট রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী রাত্রিবাস করতে পারেন। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু ও পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তের নেতৃত্বে আধিকারিকদের দল ওই রিসর্ট পরিদর্শনে যান। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার জন্য বড়দিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বাছাই করেছে প্রশাসন। সেখানে হেলিপ্যাড তৈরি হবে। মালবাজার আদর্শ বিদ্যাভবনও প্রশাসনের তরফে পরিদর্শন হয়েছে। উদিচি সভাঘরও দেখেছে প্রশাসন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফর নিয়ে প্রশাসনের কেউ মুখ খুলতে চাননি।