প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে আসছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। উপরাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম রাজ্যে পা রাখছেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বীরবাহা হাঁসদা এবং জ্যোৎস্না মাণ্ডিকে। আদিবাসী এই দুই নেত্রীকে সামনে রেখে বার্তা দিতে চায় রাজ্য সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তাঁদের উপর গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বীরবাহা হাঁসদা সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী। ঝাড়গ্রামের এই বিধায়ক ও মন্ত্রী জনজাতি সমাজের কাছে জনপ্রিয়। অন্যদিকে,জ্যোৎস্না মান্ডি হলেন বাঁকুড়ার নেত্রী। তিনি বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছেন। তাই এখন তাঁদের উপর ভরসা রাখছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর।গতকাল, বুধবার রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বিকেলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে যখন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে যান, তখন সেখানে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং শশী পাঁজা। তাঁরা দু’জনেই সিনিয়র মন্ত্রী। তাই তাঁদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার উপরাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে বীরবাহা–জ্যোৎস্নাকে পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, অখিল কাণ্ডের পর এই পথেই ধনখড়কে সম্মান জানাতে চাইছে নবান্ন। আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এঁদের অসম্মান করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে ধনখড়কে স্বাগত জানাতে বীরবাহা–জ্যোৎস্নাকে পাঠিয়ে আদিবাসীদের পাশেই আছে রাজ্য সরকার বার্তা দিতে চাওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।