প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শুক্রবার ছিল সংবিধান দিবস, সে বিষয়েই বলতে শুরু করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু শুভেন্দুর বক্তব্য শুরু হতে না হতেই তৃণমূল বিধায়কদের বসার জায়গা থেকে একটা গোলমাল শুরু হয়। কানে আসতেই রুখে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাধা দেবে না। সবাই চুপ করে থাকো।’’ কোনও কোনও তৃণমূল বিধায়ক টীকা-টিপ্পনীও কাটতে শুরু করেছিলেন। মমতা তাঁদেরও কড়া ভাষায় নিষেধ করেন কথা বলতে। শুক্রবার সকালে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে এমন সৌজন্যই দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী।শুক্রবার একই ঘটনা ঘটে বিধানসভায় বিরোধী বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বক্তৃতা করার সময়েও। বিজেপির আসানসোলের বিধায়ক যখন কথা বলতে ওঠেন, তখন আবার টীকা-টিপ্পনী ভেসে আসে তৃণমূলের বিধায়কদের আসন থেকে। মমতা আবার তাঁদের সতর্ক করেন। ধমক দিয়ে বলেন, কেউ কারও বক্তৃতায় বাধা দেবেন না।বিধানসভায় অবশ্য মমতার এই সৌজন্যবোধ এই প্রথম নয়। এর আগেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর প্রতি সৌজন্য নমস্কার করেছিলেন মমতা। একই ভাবে প্রতি নমস্কার ফিরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দুকেও। বিধানসভায় সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে আগে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সংবিধান দিবস থাকায় গণতন্ত্রের পীঠস্থানে সৌজন্য দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন তিনি সংবিধান মেনেই চলেন। এরপর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল এবং বিরোধী বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। মুখ্যমন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের জানান, তিনি চা খাওয়ার আমন্ত্রণ করেছিলেন শুভেন্দুদের। দু’দিন আগে রাজভবনে বিমান বসুকেও তিনি সৌজন্য দেখিয়েছেন। আর আজকের ঘটনা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সঠিক নয়,আর তিনি সংবিধান মেনে চলেন।