দেবরীনা মণ্ডল সাহা , কলকাতা :- শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পেয়ে তাঁর ঘরে যান শুভেন্দু অধিকারী | সঙ্গে ছিলেন পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়িও। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সামান্য আলোচনার পরই বেরিয়ে আসেন তাঁরা।এদিন মমতা বলেন, ‘আপনি একসময় কংগ্রেসে, তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। আপনার বাবা সিনিয়র নেতা। তাঁকে সম্মান করি। সংবিধান রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের সরকার মানুষের সরকার। মানুষকে নিয়ে চলছি। আমাদের সরকার মানুষের জন্য। আসুন আমরা রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করি।’মুখ্যমন্ত্রী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রণ জানান বিরোধীদের। তিনি বলেন, আপনারা বিরোধী দলের সবাই আসুন। কয়েকটা পুরসভা বাকি আছে। রোজ রোজ ভোট হলে উন্নয়নের কাজ থমকে যায়। কলেজে ভোট হয়নি কোভিডের কারণে। বামেরা শিক্ষা দফতরকে শেষ করে দিয়েছিল ব্রাত্য বসুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন মিনিট চারেক শুভেন্দু ছিলেন মমতার ঘরে। পরে মমতা বলেন, ‘‘শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম।’’ আর শুভেন্দু বলেন, ‘‘সংসদীয় গণতন্ত্রে সৌজন্য থাকবে। তাই সৌজন্য সাক্ষাত করতে গিয়েছিলাম। তবে কী আলোচনা হয়েছে বলব না। সংসদীয় গণতন্ত্রে এটা উচিত নয়।’’ শুভেন্দু আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সকলকে চা খেতে বলেছিলেন। কিন্তু বিধানসভায় অধিবেশন চলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদেরও ব্যস্ততার কারণে চা খাওয়া হয়নি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”আমি বিজেপি করি। আমাদের দল পরিবার। আমার সঙ্গে দলীয় বিধায়করাও ছিলেন। আমি তাঁর এই পদক্ষেপ উদারতা হিসেবে গ্রহণ করব, দুর্বলতা হিসেবে নয়। আমরা সৌজন্য বজায় রাখব। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যখনই প্রয়োজন পড়বে উপস্থিত থাকব। তবে সেক্ষেত্রে বিজেপি, তৃণমূল বিধায়ক নয়, সকলকে বিধায়ক হিসেবে দেখতে হবে।” অগ্নিমিত্রাও জানান, ”সিএম বসেছিলেন, সৌজন্য বিনিময় করলাম।” তবে শুক্রবার বিধানসভার সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা মমতা-শুভেন্দুর সাক্ষাৎ। তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার গঠন, শুভেন্দুর বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর এই প্রথম একে অপরের সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করলেন। এর আগে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও এড়িয়ে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।