দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এবার ‘জিএসটি ক্ষতিপূরণ’ বাবদ ৮১৪ কোটি টাকা মিলল।শুরুটা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা পাঠানোর মধ্য দিয়ে। তার কয়েকদিন পরেই আসে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা। এবার এল জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য পাওনা,যা নিয়ে কয়েকদিন আগেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার চাপে পড়ে একের পর এক টাকা দিতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন জিএসটির বকেয়া টাকার দাবিতে। রাজ্যের বহু কোটি টাকা পাওনা কেন্দ্র দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ বকেয়া টাকা দিতে শুরু করেছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত জিএসটি বাবদ বকেয়া টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই খাতেই ৮১৪ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র বলে নবান্ন সূত্রে খবর।তবে একাধিক প্রকল্পে বাংলার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হলেও ১০০ দিনের প্রাপ্য এখনও অধরাই। তা নিয়ে নতুন করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রাজ্যের অভিযোগ, একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।একুশ-বাইশ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের জন্য ৬৭৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য। সেই বকেয়া পাওনা আদায়ে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই সচেষ্ট। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই তিন দফায় টাকা মেলায় কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। যদিও আগামী ৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর জট কাটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১–২২ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের বাবদ ৬৭৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য। তাই মুখ্যমন্ত্রী এবার সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।শুক্রবার সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানেই তিনি বলেন, ‘গঙ্গা–পদ্মার ভাঙনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বহুদিন ধরে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান পড়ে আছে! অল পলটিক্যাল পার্টির প্রতিনিধিদের নিয়ে দিল্লিতে প্রতিনিধিদল যাক। স্পিকারকে এমন প্রস্তাব দিচ্ছি।’ এই প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে গিয়ে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে বাংলার হয়ে দরবার করবেন। এমনকী তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।