দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের | বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন।’ এদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে একথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।’ সেই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির শেষে হালকা মেজাজে ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিচারপতি ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’ মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওরা আমাকে বলতে বাধ্য করে।’ এ কথা বলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন তিনি। এদিন কুণাল ঘোষের কথার প্রসঙ্গ টেনে পর্ষদের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বিচারপতি বলেন, ‘কুণাল ঘোষের কথা আমি খুব এনজয় করি। রোজ কিছু না কিছু বলেন। তবে আমি কোনও অতিরিক্ত মন্তব্য করব না। কারণ কথার মানে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। আমি তো বলেছি, ঢাকি বিসর্জন দিয়ে দেব। ওরা আমাকে বলতে বাধ্য করে।’তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না। ওনার কিছু মন্তব্য কানে আসে। তার প্রতিবাদ করছি। যিনি মাথা জানেন, ঢাকি জানেন, তাঁকে সাক্ষী করা হোক। সিবিআইয়ের উচিত তাঁকে ১৬৪ করা। মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার ভালো কাজ করছেন, এটা সবাই জানে।’মঙ্গলবার গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এর ফলে বাতিল হতে পারে ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলটি। ওই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।’’ এ-ও জানিয়েছিলেন, কেন এই কথা বলছেন, তা সময় এলে বোঝা যাবে। মনে করা হচ্ছিল, রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের উদ্দেশেই এ সব বলেছেন বিচারপতি। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সরব হন বিরোধীরা। তাঁরা দাবি করেন, রাজ্য সরকারের উদ্দেশেই এ সব বলেছেন বিচারপতি। সেই দাবি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানান, কোনও ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে করে এ কথা বলেননি।