প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হচ্ছেন লক্ষ্মণ শেঠ। নয়া পদে তাঁকে বহাল করেছেন প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বিধানভবন থেকে চিঠি পাঠিয়ে প্রাক্তন সিপিএম নেতাকে এই নয়া পদে নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে | মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে লক্ষ্মণের নিয়োগের কথা জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। তাতে জানানো হয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে অবিলম্বে লক্ষ্মণকে এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হল। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ এক সময় দাপুটে সিপিএম নেতা হিসাবেও পরিচিত ছিলেন | নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল সরকারের আমলে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ‘আত্মগোপনকারী’ লক্ষণকে। বাম আমলে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের একচ্ছত্র রাজত্ব ছিল তাঁর। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পর নিজে দল করেন লক্ষ্মণ শেঠ। পরে বিজেপিতে যোগদান করেন হলদিয়ার একদা দাপুটে এই নেতা। একমাস যেতে না যেতেই লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেসের যোগদান করেন। ২০২১ সালে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের সময় তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়েছিলেন লক্ষ্মণ। নিজে প্রকাশ্যে সেই কথা জানিয়েও ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের তরফে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি কংগ্রেসেই থেকে যান। এ বছরের গোড়ার দিকে আবারও তৃণমূলের যোগ দিতে চান লক্ষ্মণ শেঠ। কিন্তু এবারও ঘাসফুলের তরফের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। নন্দীগ্রাম কাণ্ডে নাম জড়িয়ে পড়া লক্ষ্মণ শেঠকে কিছুটা এড়িয়ে গিয়েছে ঘাসফুল। ফলত তিনি কংগ্রেসেই থেকে যান। বছরের শেষে এসে তাঁকে সহ-সভাপতি করল প্রদেশ কংগ্রেস।খরব পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত লক্ষ্মণ বলেন, ‘আমি দিল্লি থেকে হলদিয়া ফিরে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পেরেছি। আমি এই সিদ্ধান্তে খুশি। আমি কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।’ তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, তাঁর মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ যদি সংগঠনিক হাল ধরেন তবে কংগ্রেস কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁকে দলের গুরুত্ব পদ দেওয়া তাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।