দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- মঙ্গলবার দিনভর অশান্ত থাকার পর মধ্যরাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে অবস্থান মঞ্চ করেছিলেন পড়ুয়ারা। মধ্যরাতে সেই মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান মঞ্চ জোর করে ভেঙে দেয়। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতোর উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ছাত্র ছাত্রীদের। শুধু অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেওয়া নয়, পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীরা মত্ত অবস্থায় পড়ুয়াদের মারধর করেন। এমনকি, ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকি দেন নিরাপত্তারক্ষীরা বলে অভিযোগ | আন্দোলনকারী এক ছাত্রীর অভিযোগ, ‘নিরাপত্তাকর্মীরা বেড়া টপকে এসে আমাদের মারধর করতে শুরু করেন এবং অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেন। পাশাপাশি ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় আমাদের।’ অন্যদিকে অবস্থান মঞ্চ ভাঙা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সাফাই, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে ছাত্রছাত্রীরা অবস্থান মঞ্চ করেছিল। যার ফলে উপাচার্যের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।রাতেও শান্ত হয়নি বিশ্বভারতী। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে অবস্থান শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, অবস্থান চলাকালীন নিরাপত্তারক্ষীরা মত্ত অবস্থায় সেখানে আসে এবং তাঁদের মারধর করে, মঞ্চ ভেঙে দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পাশাপাশি ছাত্রীদের ধর্ষণ করার হুমকি দেয়। অন্যদিকে, অশোক মাহাতো দাবি করেছেন, পড়ুয়ারা রাতে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের বাড়িতে ইট ছুঁড়েছে। সেই কারণে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে ফেলেছেন। যদিও ধর্ষণের হুমকির কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে পড়ুয়াদের পাল্টা অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা আচমকায় তাদের উপর হামলা চালায়। সব মিলিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি।