দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনের সময় নিহত তিন শহিদের মৃত্যুতে পৃথক সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল-বিজেপি। তৃণমূলের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে বিজেপি আয়োজিত সভায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতি ছিলেন। সভা নিয়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্য কুণাল ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীকে একইসারিতে রেখে কটাক্ষ করলেন বিজপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ | তৃণমূলের শহীদ দিবস পালনের পর একই জায়গায় হাজির হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু নিশানা করেন অনুব্রত মণ্ডল থেকে তৃণমূলের আবাস দুর্নীতিকে। এর ফলে নন্দীগ্রামের শহীদ দিবস উপলক্ষে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিলীপ ঘোষ শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের কুণাল ও তারই দলের শুভেন্দু অধিকারীকে।বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ শনিবার সকালে এই প্রসঙ্গে বলেন, “নন্দীগ্রামে যারা শহীদ হয়েছে তাদের কথা ভুলে সবাই নিজেদের কথা নিয়ে ব্যস্ত। সারা বাংলায় আগেও তো অনেক শহীদ হয়েছে। এখনও হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় শহীদ দিবস হওয়া উচিত। দড়ি টানাটানি চলছে সেটা নিয়ে। তবে কিছু কিছু দিন রাজনীতির ইস্যু হয়ে যায়। বাংলার রাজনীতিতে এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে।”শনিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে ভাঙাবেড়া ব্রিজে শহিদ স্মরণ করে তৃণমূল। ওদিকে বেলায় শহিদ বেদীর কাছে শহিদ স্মরণে যোগদান করার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এদিনের সভায় কুণাল বলেন, ‘সিপিএমের মতো শুভেন্দুও নন্দীগ্রামের আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে নন্দীগ্রামের শহিদদের ব্যবহার করছেন শুভেন্দু অধিকারী।’ পালটা আক্রমণে শুভেন্দু বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে যাদের কোনও যোগ ছিল না তাঁরা ক্ষীর – মধু খাচ্ছেন।’ দুপক্ষের দড়ি টানাটানির মধ্যেই এবার শুভেন্দুর অস্বস্তি বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ।