প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিজেপির গঙ্গা আরতি নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা রইল কলকাতার বাবুঘাটে। বিকেলে সুকান্তবাবু পুলিশের বাধা পেরিয়ে আরতি করতে এলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। অবশেষে সুকান্তবাবুসহ বিজেপি কর্মীদের আটক করে পুলিশ। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কার্যত লুকিয়ে গঙ্গা আরতি বিজেপির । রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হাতেগোনা কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাবুঘাটে নমো নমো করে আরতি সারলেন। আরতি শেষে সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি, “পুলিশ ডালে-ডালে চললে, আমরা পাতায়-পাতায় চলি। বলেছিলাম গঙ্গা আরতি করব। প্রতীকীভাবে সেই আরতি করলাম।”ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। বাঁজা কদমতলা ঘাটে বিজেপির মঞ্চ খুলতে চলে আসেন কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা। ডেকরাটেরকে দিয়ে মঞ্চ খোলান তাঁরা। খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ তাঁকে আটক করে লালবাজারে চলে যায়। সন্ধ্যায় সমর্থকদের নিয়ে বাবুঘাটে পৌঁছন সুকান্তবাবু। সেখানে গঙ্গারতি করেন তিনি। এর পর বাঁজা কদমতলা ঘাটের দিকে হাঁটতে থাকেন তিনি। কিছুক্ষণ পর জানা যায় বেশ কজেকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলেছে পুলিশ।
সঙ্গে সঙ্গে উলটো পথে হাঁটা শুরু করেন সুকান্তবাবু। এর পর প্রিজন ভ্যানের সামনে বসে পড়েন তিনি। সুকান্তবাবু ও অন্য বিজেপি নেতাদের সরাতে টানাটানি শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। পালটা স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বাবুঘাট এলাকায়। এরপর সুকান্তবাবুসহ বাকি বিজেপি নেতাদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের টানাটানিতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। প্রায় ৩০ মিনিটের অচলাবস্থার পর সুকান্ত মজুমদারকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলেন পুলিশকর্মীরা।