Breaking News

জাকির হোসেনের বাড়িতে কুবেরের ধন!শ্রমিকদের বেতন দিতে নগদ রাখতে হয়, আয়কর হানার পর দাবি জাকির হোসেনের

প্রসেনজিৎ ধর :- বাড়ি ও কারখানা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সাফাই দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের টাকা মেটাতে হয়। তাই নগদ রাখতে হয়।কুবেরের ধন মিলল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা, গুদাম এবং চালকল থেকে,এমনটাই জানা গিয়েছে, আয়কর দফতর সূত্রে। ওই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে জাকিরের বিড়ি কারখানা এবং তাঁর দফতর-সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছিল আয়কর তল্লাশি। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে মিলেছে ১৫ কোটি টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৫ কোটি টাকার মধ্যে কেবল মাত্র একটি জায়গা থেকেই মিলেছে ৯ কোটি টাকা। এছাড়া গোডাউনে হানা দিয়েও উদ্ধার করা হয়েছে ২ কোটি টাকা। জাকির অবশ্য জানিয়েছেন, গত ২৩ বছর ধরে তিনি আয়কর দিয়ে আসছেন।এদিন জাকির হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীর কাছে নগদ থাকবে না? তাহলে তো ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। আমার ২টি বিড়ি কারখানায় ৭ হাজার কর্মী কাজ করেন। তাদের প্রতি সপ্তাহে নগদে বেতন দিতে হয়। তাছাড়া বিড়ির মশলা কিনতে হয় নগদে। এছাড়া আমার তেলকল ও চালকল রয়েছে।

সেখানেও নগদে শস্য কিনতে হয়। আমার জমিতে চাষের কাজ করেন অনেকে। তাদের পাওনাও নগদে মেটাই। এবার তো তাদের টাকা দিতে পারব না। সেই চাষিরা আবার না বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।জাকির হোসেনের দাবি, আমি কর দিয়ে ব্যবসা করি। মুর্শিদাবাদের সর্বোচ্চ করদাতা আমি। তার পরেও আমার বাড়ি ও কারখানায় আয়কর হানা হল। আমাকে আগে থেকে কিছু জানানো হল না। তবে আয়কর আধিকারিকরা লিখে দিয়েছেন যে আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি। এবার দেখি আদালত কী বলে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *