দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিবসে চেতলায় বিবেকানন্দর মূর্তিতে মাল্যদান অনুষ্ঠানে গেরুয়া পাঞ্জাবি পরে এলেন কলকাতার পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গেরুয়া পরার কারণটাও জানালেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপির সঙ্গে ব্যাপার নয়। বিবেকানন্দ সারা ভারতের। বিবেক চেতনা না থাকলে ঐক্যবদ্ধ চেতনা থাকবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা ঠাকুর ও বিবেকানন্দ দেশকে শিখিয়ে গিয়েছে। বিজেপির যদি সত্যি বিবেকান্দর প্রতি শ্রদ্ধা থাকে তবে কোনও মুসলমান ঘরে গিয়ে হুঁকো খেয়ে বলুক কোথায় আমার তো জাত গেল না!তিনি বলেন, যারা জাতপাত ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে তাদের জন্য বিবেকানন্দ নয়। বিকেবাকন্দ এসবের উর্ধে…। মানুষকে মেরে ঈশ্বর সেবা করা যায় না, মানুষকে ভালোবাসতে হয়। কিন্তু ফিরহাদ হাকিমকে গেরুয়া পাঞ্জাবিতে সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু কী এমন হল তাঁকেও গেরুয়া পরতে হল?ফিরহাদ হাকিম বলেন, আজ বিবেকানন্দর জন্মদিন। আমরা যুব সমাজকে আহ্বান করি। বিবেকানন্দ ত্যাগের প্রতীক। তাই এই কালারটা ত্যাগের প্রতীক।
বিজেপি করে ভোগের প্রতীক হয়। আর আমরা যারা সত্যি সত্যি যারা বিবেকানন্দর অনুরাগী তারা ত্যাগের প্রতীকের জন্য এটা পরি। এই কালারটা আসলে বিজেপি পেটেন্ট নেয়নি। সেটাই প্রমাণ করতে চাইছি |ফিরহাদ হাকিম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, তাদের সরকার এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর, স্বামী বিবেকানন্দের ভাবধারাকে যুবসমাজের মনে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র আরো দাবি করেন যুবসমাজকে প্রতিষ্ঠিত করতে রাজারহাট নিউটাউনে তথ্যপ্রযুক্তি নগর গড়ে সেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুযোগ করে দিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার।রাজ্যে এক সময় শাসক দলের ক্ষমতায় থাকা বামেদের নাম মুখে না নিয়ে ফিরহাদ হাকিম সমালোচনার সুরে বলেন, সারা ভারতবর্ষে বাংলার ছেলেরাই তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা দেখাচ্ছে।