দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল। এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল চারজন সিবিআই আধিকারিককে। তাঁদের মধ্যে দু’জন তদন্তকারী আধিকারিক এবং বাকি দু’জন কনস্টেবল। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। গত ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। গ্রেফতারির পর আদালতের নির্দেশে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন লালন শেখ। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্ত শুরু করার পরেই সিবিআইয়ের হাতে নোটিশ ধরায় সিআইডি। দুই সিবিআই অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নোটিশ দেওয়া হয়। লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় এবার দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে সিবিআই। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। সাসপেন্ড হওয়া দুই সিবিআই আধিকারিকের নাম রাহুল প্রিয়দর্শী ও বিলাস মাদগুঠ।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, নিজেদের হেফাজতে বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় মোট চারজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দুই অফিসার ছাড়াও লালনের পাহাড়ায় ছিলেন যে দুই পুলিশ কনস্টেবল তাঁদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে। লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য আপাতত সিবিআই কর্তাদের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, এই কর্তাদের উপস্থিতিতে কী ভাবে একজন অভিযুক্তের মৃত্যু হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। আপাতত বগটুইকাণ্ডের তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সিবিআই কর্তা, ভাদু শেখের হত্যা মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এবং আরও দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সিবিআই ইনস্পেক্টর রাহুল প্রিয়দর্শী, সিবিআইয়ের ডিএসপি বিলাশ মাদগুঠ এবং দু’জন কনস্টেবল। যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, লালনকাণ্ডে উঠে আসা আর এক সিবিআই কর্তা সুশান্ত ভট্টাচার্যের কোনও ভূমিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি।