প্রসেনজিৎ ধর :-কাকদ্বীপে সিপিএম দম্পতির পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্তে ভরসা নেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এই ঘটনায় পুনরায় তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী সেনকে দায়িত্ব দিলেন বিচারপতি। তাঁর নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে এই ঘটনার পুনরায় তদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন বন্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় দেবু দাস ও ঊষা দাস নামে এক দম্পতির। তাঁরা এলাকায় সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত ছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে ওই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সোমবার কলকাতা পুলিসের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ফের তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দেবু ও ঊষা দাসের ছেলে দীপঙ্কর দাস। মামলার শুনানির পর এদিন কাকদ্বীপ থানার দায়ের করা চার্জশিটে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তদন্তে উঠে আসা তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিচারপ্রক্রিয়া এগোবে।
এদিকে, পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট হননি দীপঙ্কর। তাঁর অভিযোগ, ১৪ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছিল তাঁদের নাম এফআইআরে ছিল না। তাঁরা সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট দময়ন্তীর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ঘটনার পুনরায় তদন্ত করতে বলেছে। সেই সঙ্গে কাকদ্বীপ পুলিশের চার্জশিটেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।