প্রসেনজিৎ ধর :- আবারও বিজেপিকে বীরভূম থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | বললেন, বীরভূম সামলাবেন তিনিই। মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন এই জেলায়। বললেন, কাজ হবে আগের মতোই। কোনও ভয় নেই।এই প্রথমবার অনুব্রতহীন বীরভূম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘প্রিয়’ কেষ্টর অনুপস্থিতিতে বোলপুরে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। মমতার হুঙ্কার, “চ্যালেঞ্জ নিলাম বীরভূম আমি নিজে দেখব।”এর আগে গত সোমবারের অনুব্রতহীন বোলপুরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে কোর কমিটিতে আরও তিন সদস্যকে যুক্ত করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এতদিন কোর কমিটিতে ছিলেন চারজন সদস্য। নতুন করে সাংসদ শতাব্দী রায়, কাজল শেখ ও অসিত মালকে কোর কমিটিতে যুক্ত করা হয়। সাফ জানিয়েও দেন, অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় সমস্যার কিছু নেই। বুধবার অবশ্য বীরভূমের সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নেন মমতা। বুধবার মমতা বলেন, “আমার ২-১ জন নেতাকে জেলে ভরেছে। তাতে কিছুই হবে না। যতদিন সে অ্যাবসেন্ট থাকবে বীরভূম আমি নিজে দেখব। আমাকে সাহায্য করবেন ফিরহাদ হাকিম। কোর গ্রুপ তো রয়েছেই। একটা প্রবাদ আছে না রাজা যায় বাজার। কুত্তা ভোকে হাজার। তৃণমূলে রাজা মানে প্রজা। প্রজার দল।”তবে দলের জেলা সভাপতির পদে অবশ্য় এখনও রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে তাঁর ডানা ছাঁটা হয়নি। তবে প্রশ্ন উঠছে অনুব্রত যখন জেলে তখন কি দ্বিতীয় কাউকে সংগঠন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ভরসা পাচ্ছেন না নেত্রী? সেকারণেই কৌশলে নিজের হাতেই সংগঠন রাখলেন তিনি। অনুব্রতর মন রাখতেই কি তিনি দ্বিতীয় কাউকে জেলা তৃণমূলের শীর্ষপদে রাখলেন না?প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে তৃণমূল নেত্রীর এই উদ্যোগ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী নেতৃত্ব।অনুব্রত যে বখরাটা পাঠাত কালীঘাটে, সেটা যাতে অন্য কোথাও না যায় সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন মমতা।সেকারণেই তিনি বীরভূমে দলের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে ভরসা পাননি। আসলে তাঁর এখন অনেক সময়। সেকারণেই জেলার দায়িত্বও তিনি নিচ্ছেন। বললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম জেলায় তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হবে না। জানালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অনুব্রত মণ্ডলের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ দলীয় সৈনিক জেলবন্দি থাকা যে তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সে কারণে নিজের কাঁধেই বীরভূমের সংগঠনের দায়িত্বভার তুলে নিয়ে মমতা কৌশলী চাল দিলেন বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।