নিজস্ব সংবাদদাতা :- এবার তৃণমূল নেতাদের জুতা মারা নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি বিধায়ক। ‘কোনও তৃণমূল নেতা চোখ রাঙালে এবং যদি তাবেদারি দেখাতে আসে তাহলে তাদের জুতো খুলে মারুন।’ এমনটাই মন্তব্য করলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। বিজেপি বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার দিঘা এলাকায় আয়োজিত একটি রক্তদান শিবির থেকে এমন মন্তব্য করেছেন বিজেপি বিধায়ক। পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘যদি কেউ ভোট লুঠ করতে আসে তাহলে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। কেউ ভোট লুট করতে আসলে তাকে বাধা দিতে হবে।’
এরপর জুতো মারার নিদান দেন বিজেপি বিধায়ক। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই একের পর এক নিদান শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় বিলকান্দা ২ নম্বরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সজল দাস বলেছিলেন, ‘তৃণমূল দল বা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বিরোধীদের কুকথা বলতে শুনলেই তাদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে।’প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে স্বপন মজুমদারকে। দিনকয়েক আগে মালদহের সভা থেকে হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম করতে গিয়ে উচ্চারণে সমস্যা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সোচ্চার মতুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তীতে জানিয়েছেন, যে বিষয়টা ‘স্লিপ অফ টাং’। তা সত্ত্বেও অশান্তি চলছিল বিভিন্ন প্রান্তে। চলতি সপ্তাহেই মতুয়াদের একটি বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বিধায়ক স্বপন মজুমদার। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “ডঙ্কা, কাশি, নিশান তৈরি রাখুন৷ যখনই ভোট চাইতে আসবে তখনই ওদের মুখে মারুন৷” স্বপনবাবুর এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। গাইঘাটার তৃণমূল নেতা বিপ্লব দাস বলেছিলেন, “এটাই বিজেপির কালচার। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকলে মানুষ এমন মন্তব্য করে৷”