Breaking News

নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে পথে নামলেন বিমান বসু –মহম্মদ সেলিমরা!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ সমস্ত রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবিতে মিছিল করল সিপিআইএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আইএসএফ সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। মঙ্গলবার কলকাতার রামলীলা ময়দান থেকে রানী রাসমনি রোড পর্যন্ত এই মিছিলের সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। মিছিলে হাঁটেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও।প্রায় এক হাজার লোকের মিছিল লক্ষ্য করা গেল কলকাতার রাজপথে। নওশাদ সিদ্দিকি–সহ অন্যান্যদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তোলা হয় এই মিছিল থেকে। মোট ১৮টি সংগঠন মিছিলে অংশ নেয়। পার্ক সার্কাসের রামলীলা পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হয়। আগামীকাল, বুধবার ভাঙড়ে একই দাবিতে সমাবেশ করা হবে।এদিকে আজ, মঙ্গলবার কলকাতার রামলীলা ময়দান থেকে রানী রাসমনি রোড পর্যন্ত এই মিছিল করা হয়। সেখানে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। মিছিলে হাঁটেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও।

যদিও এই আইএসএফ–কে আগে পছন্দ না করার দরুণ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সূত্রের খবর, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে সংখ্যালঘু ভোট টানতেই এই পথে হাঁটলেন সেলিম। গত ২১ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় জমায়েত করেছিল দলের কর্মী–সমর্থকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও। সেই জমায়েত থেকে পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়। এমনকী পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আইএসএফ কর্মী–সমর্থকদের। তারপর গ্রেফতার হন নৌশাদ সিদ্দিকি।২১ জানুয়ারির ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজকের মিছিল থেকে মূল দাবি দুটো তোলা হয়। এক, ধৃতদের অবিলম্বে মুক্ত দিতে হবে। দুই, যে পুলিশ এই ঘটনা ঘটাল, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই মিছিলের ডাক ভাঙড়েও হয়েছে। আর মিছিল থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ’‌নৌশাদ সিদ্দিকিকে টাকার টোপ দিয়ে এরা কিনতে চেয়েছিল। যখন পারেনি, তখনই পুলিশ হেফাজত চাইছে। যাতে ব্রেনওয়াশ করতে পারে। বিরোধী পক্ষের একমাত্র বিধায়ক উনি। ওরা তাঁকে ভয় পাচ্ছে। কারণ ওরা বিরোধী কণ্ঠস্বর ভয় পায়।’‌

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *