দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্য সরকার আগেই ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ চালু করেছিল পড়ুয়াদের জন্য। তাতে পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য মাত্র ৪ শতাংশ হারে সুদের বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে সক্ষম দেশের যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে। সেই ঋণ পরবর্তী ১৫ বছর ধরে শোধ করা যায়। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণের জন্য আবেদন করা যায়। এবার আসছে ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ |বুধবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’প্রকল্প আনছে সরকার। এই প্রকল্পে দু’লক্ষ যুবক-যুবতীকে আর্থিক সহায়তা বাবদ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার মোট ঋণের ১০ শতাংশ অর্থাৎ সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভরতুকি প্রদান করবে। সেই সঙ্গে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক গ্যারান্টি দেবে। এই প্রকল্পে মোট ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।রাজ্য সরকারের আশা, এই এককালীন অর্থ সাহায্যের ফলে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা নিজেদের মতো ছোটখাট ব্যবসা বা স্টার্ট-আপের মাধ্যমে নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে।
যার ফলে রাজ্যের অর্থনীতির চাকাও আরও দ্রুত গতিতে এগোবে। এর আগে ২০২১ সালের জুন মাসে রাজ্যের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়তা করার লক্ষ্যে ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’প্রকল্প চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার ফলে বহু পড়ুয়া উপকৃত হয়েছে। অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কাউকে সমস্যায় পড়তে হবে না, সেটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এবার সেই সঙ্গে উচ্চশিক্ষার পর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও সরকারকে পাশে পাবেন রাজ্যের যুবক-যুবতীরা।আপাতত ২ লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে এই ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর এই ক্রডিট কার্ড চালু হওয়ায় যারা ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ পাচ্ছিলেন না তাঁরাও লাভবান হবেন। কেননা এক্ষেত্রে এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে যেমন তাঁরা দাঁড়াতে পারবেন তেমনি অনেক মানুষকে কাজও দিতে পারবেন। অর্থাৎ এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চলেছে রাজ্য সরকার। একদিকে তরুণ প্রজন্মকে স্বনির্ভর করে তোলা হচ্ছে অন্যদিকে কর্মসংস্থানও তৈরি করছে।