প্রসেনজিৎ ধর :-আজ, বৃহস্পতিবার চলন্ত ট্রেন থেকে এক যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সহ–যাত্রীদের সঙ্গে বচসার জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। আর এই বচসা চলাকালীনই চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে যুবককে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তার জেরে ওই যাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় জখম হন। তাঁকে উদ্ধার করেছেন এলাকার মানুষজন। বীরভূমের নলহাটি থানার কাদিরপুর গ্রামে এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম সিপুল নাথ। আগরতলা থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল আরও ৩ বন্ধু। সূত্রের খবর, ট্রেনে যাওয়ার সময় চারবন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ক্রমেই তা বড় আকার নেয়। ট্রেনের মধ্যেই শুরু হয় হাতাহাতি। অল্প সময়ের মধ্যেই তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। আহত যুবকের অভিযোগ, বচসার মাঝেই চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে।স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ বৃহস্পতিবার সকালে নলহাটি থানার পাইকপাড়া থেকে মধুরা যাওয়ার রাস্তায় কাদিরপুর গ্রামের পাশেই ওই যুবকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম শিপুল নাথ। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার পুরনো রাজবাড়ি থানার তেবাড়িয়া গ্রামে। চার বন্ধু মিলে ট্রেনে চড়ে আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। ট্রেনের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে। আর তখনই চলন্ত ট্রেন থেকে এই য়ুবককে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়।আজ সকলে কাদিরপুর গ্রামের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই আহত যুবককে দেখতে পান। এরপর তারা নলহাটি থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে নলহাটি থানার পুলিশ। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। যুবকটি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ঠিকই। তবে মারাও যেতে পারতেন দুর্ঘটনায়।এই ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালে শুয়ে আহত যুবক বলেন, ‘আমরা আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলাম চারজন। অনেকটা রাস্তা যেতেই শুরু হয় গণ্ডগোল। তখন মারধর শুরু করা হয়। আমাদের তিনজনকে খুব মেরেছে। এমনকী আমার থেকে সব টাকা–পয়সা কেড়ে নিয়ে নিয়েছে। তারপর চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে।’ এই ঘটনায় এখন আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। গোটা ঘটনা শুনে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।