Breaking News

সরকারি আবাসনের ৩৮৪ ফ্ল্যাটের নিঃশর্তে দলিল দেবে রাজ্য,সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সাউথ সিটির উল্টোদিকে পোদ্দার পার্ক সরকারি আবাসন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ওই আবাসনের ১২ টি টাওয়ারের ৩৮৪টি ফ্ল্যাটের পুনর্নিমাণ করব কেএমডিএ। ওই আবাসনটি প্রায় ৬০ বছরের পুরনো। আবাসনের বিভিন্ন অংশ প্রায় ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্ল্যাটগুলির সারাই না করলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। তাই আবাসনটি পুনর্নিমাণ করে বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ফ্ল্যাটের দলিলও বাসিন্দাদের দিয়ে দেওয়া হবে। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, “মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে। বিপজ্জনক বাড়িতে আর একমুহূর্ত বাসিন্দাদের থাকতে দিতে রাজি নন মুখ‌্যমন্ত্রী। তাই সরকারি খরচেই আবাসনগুলি তৈরি করে নিঃশর্তে মালিকানা দেওয়া হবে।” মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তে বাসিন্দাদের তরফে মুখ‌্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দুই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমি দাস।

রাজ্যে পরিবর্তনের পর উদ্বাস্ত ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সচিব মনোজ পন্থকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়ে এসে পুরসভার বরো ১০-এর অফিসে পুণর্বাসন নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন শোভনদেব। সিদ্ধান্ত হয় কেএমডিএ এই প্রকল্প তৈরি করবে, দ্রুত নির্মাণ শুরু হবে। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর কেটে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে স্থানীয় বিধায়ক হয়ে দেবাশিস কুমারও বাসিন্দাদের কথা ভেবেই টেনেন্ট অ‌্যাসোসিয়েশনকে নিয়ে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন ও অর্থদপ্তরের ছোটাছুটি শুরু করেন। সক্রিয় পুরমাতা মৌসুমি দাসকে সঙ্গে নিয়ে একাধিকবার এলাকায় গিয়ে বৈঠক করেন বিধায়ক। আশ্বস্ত করেন বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যে বিকল্প ফ্ল্যাট তৈরি করে কেএমডিএ পুরানো বাড়ি ভেঙে নতুন টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু করেছে। এদিন মন্ত্রিসভায় নিঃশর্ত দলিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতেই মুখ‌্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘দ্রুত কাজ শুরু দাও।’ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে আবেগাপ্লুত টেনেন্ট অ‌্যাসোসিয়েশনের তরফে দেবাশিস ধর ও নয়নদ্বীপ দত্ত জানিয়েছেন, “বাসিন্দাদের নিঃশর্ত দলিলের দাবি পূরণে চন্দ্রিমাদি, বিধায়ক ও পুরমাতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *