প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাজ্যের নয়া রাজ্যপালকে নিয়ে এভাবেই সমালোচনায় সরব তৃণমল মুখপত্র জাগো বাংলা। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও । আর কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, রাজ্যপাল অ–আ–ক–খ শিখছেন। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির কিছুই বোঝেন না তিনি। ব্যস, এই নিয়ে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই বলেছেন, এটা চাকরি বাঁচানোর বিবৃতি। তার সঙ্গে মদন মিত্রের মন্তব্য যুক্ত হওয়ায় সংঘাতের রাস্তাই সুগম হল বলে মনে করা হচ্ছে। মদনের গলায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চড়া সুর শোনা যায়। কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, ‘বাংলার শিক্ষক রেখে রাজ্যপাল অ–আ–ক–খ শিখছেন ঠিকই। খুব ভাল কথা। কিন্তু রাজ্যপাল রাজ্য–রাজনীতির ক্যাট–ব্যাট কিছুই বোঝেন না। রাজ্যপাল ভেবেছিলেন আস্তে আস্তে সিঁধ কাটবেন। ধরা পড়ে যাবেন ভাবেননি। রাজনীতি দিয়ে লড়তে হলে আগে বাংলাকে চিনতে হবে। কেউই আমাদের রাজ্যপাল নয়, বিজেপির রাজ্যপাল। এই রাজ্যপাল অ–আ–ক–খ শিখলেও, রাজ্যের রাজনীতি শেখেননি।’
এখন এই সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এতদিন তৃণমূলের গলায় অন্য সুর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু যেই রাজ্যপাল রাজ্যের কাজের বিরোধিতা করেছেন, তখনই তিনি খারাপ হয়ে গেলেন।’ তবে কলকাতার মহানাগরিক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পরিস্থিতিকে শান্ত করার পথেই হেঁটেছেন। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীর উপর বিশ্বাস রাখা উচিত। উত্যক্ত করে এমন কয়েকজন নেতা গিয়ে ওঁকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। উনি শিক্ষিত মানুষ, যেন প্রভাবিত না হন।’