দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । রাজ্যপালকে পাশে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও। রয়েছেন নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত স্টেট ইউনিভার্সিটি, সিধু-কানহো বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ‘আজ উপাচার্যরা প্রত্যেকে রাজ্যপালের হাতে একটি করে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং রাজ্যপাল তাঁদের তিন মাসের এক্সটেনশন দিয়েছেন। এখন এরা প্রত্যেকেই বৈধ উপাচার্য।’ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাতে কোনও সংঘাতের আবহ তৈরি না হয়। রাজ্যপালও মনে করেন, এই পন্থাতেই এগোনো উচিত। আগামিকালও বেশ কিছু উপাচার্য এসে একইভাবে রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের এক্সটেনশন নেবেন বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।সেখানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেটা স্যার বললেন যেকোনও পর্বই হোক না কেন, গভর্নর সবার। তিনি নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের নন। যদি কোনও পর্ব থেকে থাকে সেটা অতীত।এটা নতুন সময়। যার জন্য় এটা সম্ভব হল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই নতুন সম্ভাবনা তৈরি হল। যেখানে সমস্ত আইনি জটিলতা কাটিয়ে আমরা নতুন দিনের দিকে এগোব। আপনাদের মনে আছে মাস দেড়েক আগে ও মহামান্য রাজ্যপাল ও ভিসিদের নিয়ে বার্তা দিয়েছিলাম যে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের যা হয়েছে সেটা অতীত। নবান্ন আর রাজ্যপাল একত্রে মিলে কাজ করবে। যতই জল্পনা থাক, উসকে দেওয়া থাক আমরা আমাদের সেই বক্তব্য ফের বলছি।
আপানারা জানেন বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত জটিলতা মহামান্য় আদালতে পেন্ডিং আছে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছে। ২৪জন উপাচার্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের কোনও সই নেই। এটা নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুসারে একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এটা নিয়ে যেন রাজ্যপালের সঙ্গে আমরা কথা বলি। মিটিং করে আমরা পথ বের করেছি।রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্বের জায়গা থাকা উচিত নয়। বললেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য বাংলার পরিচয় সর্বত্র ছিল। সেই যুগকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আরও নজর দেব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারতের কথা। সেই আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য পূরণ করতে সবথেকে বড় ভূমিকা হবে শিক্ষার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। উপাচার্যরা তাই নিজে থেকে এগিয়ে এসে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা সবাই বিজ্ঞ মানুষ। তা
ই আমি তাঁদের অনুরোধ করেছি, আপাতত তিন মাসের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই সময়ের মধ্যে আইন মেনে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগের কাজ করা হবে।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal