দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- বঙ্গে দলীয় সংগঠনের কাজের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখতে চলতি মাসেই আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। সূত্রের মতে, সব ঠিক থাকলে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগেই রাজ্য সফরে যাবেন ওই নেতা। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে প্রবাস কর্মসূচি-তে অংশ নিতে রাজ্যে যাচ্ছেন ছয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ভাবিত নয় বিজেপি। তাদের পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বাংলা থেকে ২৪টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে ১৮টি আসন বিজেপি পেলেও পরে সেখান থেকে দুটি খসে পড়ে। বাবুল সুপ্রিয় এবং অর্জুন সিং এখন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেক্ষেত্রে ১৬টি সাংসদ বাংলা থেকে এখন বিজেপির। কিন্তু পর পর নির্বাচনে পরাজয়ের মুখ দেখায় এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো কার্যত চ্যালেঞ্জের। এমনকী এই ১৬টি আসন ধরে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বিজেপি। কারণ এমনই রিপোর্ট গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই দুর্বল আসনগুলি শক্তিশালী করতে অন্যতম প্রধান দায়িত্বে ছ’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠানো হচ্ছে বাংলায়। বাংলার বঙ্গ বিজেপির ২৪টি ‘দুর্বল’ আসন শক্তিশালী করার দায়ভার তাঁদের হাতেই দিচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বলে সূত্রের খবর |
কারণ বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের মধ্যে এত গোষ্ঠীকোন্দল তাতে ভরসা করা যাচ্ছে না। সূত্রের মতে, চলতি মাসে যে ছ’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে যাচ্ছেন তাঁরা হলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানি, প্রতিমা ভৌমিক, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সাধ্বী নিরঞ্জনা জ্যোতি ও পঙ্কজ চৌধুরী। গত বছর ওই তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনপ্রতিমন্ত্রী শক্তিসিংহ বঘেল। কিন্তু ওই নেতার কাজে হতাশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আপাতত তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে সেখানে রাত্রিবাস করবেন। তাঁদের মূল লক্ষ্যই হল জনসংযোগ। এ ধরনের সফরগুলিতে মন্ত্রীরা যেমন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন, তেমনই স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় আদর্শকে ওই ব্যক্তিদের মাধ্যমে সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে দেওয়াই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। পাশাপাশি ওই এলাকায় দলীয় সংগঠনের কাজ গত এক-দেড় মাসে কতটা এগিয়েছে তাও খতিয়ে দেখবেন ওই নেতারা।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal