দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সোমবার জেল থেকে বেরনোর পর বিধানসভায় প্রথম পা রাখলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। টানা ৪২ দিন জেলে কাটিয়ে আজ ভাঙা গাড়িতে চেপে বিধানসভায় এলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বাজেট অধিবেশনের সময় জেলেই কাটাতে হয়েছে তাঁকে। আর তাঁকে কাছে পেয়ে জাপটে ধরলেন বিজেপি বিধায়ক। যা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।বিধানসভায় পৌঁছে শাসক এবং বিরোধী বিধায়কদের সঙ্গে সৌজন্যও বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁকে। কুশল বিনিময় করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। কিন্তু তার মাঝেই সকলের নজর কেড়ে নেয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণের বৈঠক। যদিও সেই বৈঠক নিয়ে বিশেষ রা কাড়েননি মন্ত্রী নিজে বা নওশাদ। তাই তাঁদের মধ্যে বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি।আজ, সোমবার বিধানসভায় পা রেখে নওশাদ বুঝিয়ে দিলেন আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন না তিনি।জেলমুক্তির পর বিধানসভায় আইএসএফ নওশাদ সিদ্দিকী একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন। ধর্মতলায় অশান্তির দিনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে সবদিক বিচার করে কলকাতা হাইকোর্ট জামিন দেয় নওশাদকে।এদিকে আজ পৌনে ১১টা নাগাদ বিধানসভা পৌঁছন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।সকাল থেকেই খোশমেজাজে দেখা যায় নওশাদকে।এদিন বিধানসভায় পৌঁছে সকলের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। নওশাদের মুখে ছিল ‘জয়ের হাসি’।
বিধানসভায় নওশাদকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। নওশাদকে জাপটে ধরেন অসীম সরকার। অন্যদিকে বিধানসভা থেকেই সুর চড়ান আইএসএফ বিধায়ক। তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন। আর হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ‘আন্দোলন চলবেই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না। এভাবে কন্ঠরোধ করা যাবে না। আপনারা আমার ট্র্যাক রেকর্ড দেখতে পারেন। আমি প্রত্যেকদিন বিধানসভায় আসি। হয় কিছু বলি না হয় শিখি। বাজেট অধিবেশনে এতগুলি দিন আমি আসতে পারিনি। খুব আফশোস হচ্ছিল। আমি জেলে কোনও সুবিধাও নিইনি। ফলে টিভিও দেখতে পাইনি।’উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে নওশাদের দলের কর্মীদের। গ্রেফতার হন নওশাদ-সহ ISF’র বহু কর্মী ও সমর্থকেরা। ৪২ দিন বন্দি থাকার পর গত শনিবার সকালে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান নওশাদ ।