Breaking News

‘সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করব’,নন্দীগ্রাম দিবসে সভা থেকে শাসকদলকে হুঙ্কার শুভেন্দুর!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- আজ নন্দীগ্রাম দিবস। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে গিয়ে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার জবাব দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ফলে নন্দীগ্রাম দিবসে তপ্ত হয়ে উঠল রাজনৈতিক তরজা।মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘একেবারে গ্যারেজ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে ‘শহিদ দিবস’ পালন করতে গিয়ে এমনই আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন তিনি। শুভেন্দু অবশ্য সরাসরি মমতা বা অভিষেকের নাম করেননি। তাঁদের তিনি সম্বোধন করেছেন ‘পিসি-ভাইপো’ বলে।আজ, মঙ্গলবার, ১৪ই মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসে সেখানে সভা করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর সেই সভা করা নিয়ে বাঁধে আইনি জটিলতা। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট একাধিক শর্তসাপেক্ষে সেই সভার অনুমতি দেয়।

আদালতের তরফে জানানো হয় যে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে সভা করতে পারবেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়, আদালতের তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় যে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে সভার জায়গা খালি করে দিতে হবে। শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে বিজেপিকে। জনজীবন যাতে কোনওভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এরপর তৃণমূল মিছিল করতে পারবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে। সেই নির্দেশ অনুযায়ীই আজ সকালেই গোকুলনগর, সোনাচূড়ার শহিদ তর্পণের কর্মসূচি করে বিজেপি। নির্দিষ্ট সময়েই সভায় পৌঁছন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন তিনি। আর সেখান থেকেই রীতিমত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে নানান বাক্যবান ছুঁড়ে দেন শুভেন্দু। এদিন বাম আমলে জমিরক্ষায় নন্দীগ্রামের সাধারণ নাগরিকদের বলিদান নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা। সেই প্রসঙ্গে কার্যত হুঁশিয়ারি শানিয়ে তিনি বলেন, “সিপিএমকে সাফ করেছি। এবার চব্বিশের নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসের আগে পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব”। শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে কসুর করে নি শাসকদলও। নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথেই বিরোধী দলনেতার এহেন মন্তব্যের জবাব দিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা নিজেরা কবে গ্যারেজড হয়ে যাবেন, জানেন না। আর শহিদ দিবসে ‘গ্যারেজ’ করে দেওয়ার কথা যাঁরা বলতে পারে, তাঁরা শহিদদের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল, তা বোঝাই যাচ্ছে”।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *