Breaking News

মালদহের স্কুলে গণধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী! ধৃত ৩

প্রসেনজিৎ ধর :- মালদহের গাজোলে এবার স্কুলের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল । স্কুলের দোতলার ঘরে ওই ছাত্রীর উপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ সামনে এল। ওই ছাত্রী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁদের গ্রেফতার করেছে মালদহ থানার পুলিশ |ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্কুলের ভিতরেও শিশুরা নিরাপদ নয় কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার মা।জানা গিয়েছে, গাজোলের ওই জুনিয়র হাইস্কুলটিতে একজন মাত্র শিক্ষক। শনিবার তিনি স্কুলে যাননি। ফলে পঠনপাঠনও হয়নি। কিন্তু স্কুল খোলা ছিল। মিড-ডে মিল রান্নাও হয়েছে। অল্প কয়েকজন পড়ুয়া এসেছিল। দুপুরে মিডডে মিল খাওয়ার পরে ষষ্ঠ ‌‌শ্রেণির দুই পড়ুয়া স্কুলের দোতলায় খেলা করছিল। সে সময়ে এলাকারই পরিচিত তিন যুবক স্কুলে ঢুকে ওদের সঙ্গে গল্প করতে শুরু করে।পরে একজনের গায়ে হাত দিতেই সে কোনও রকমে পালিয়ে গিয়ে নাবালিকার বাড়িতে খবর দেয়। তাঁর মা স্কুলে ছুটে এসে দেখেন, বিধ্বস্ত অবস্থায় মেয়ে কান্নাকাটি করছে। বাড়ি ফিরে নাবালিকা জানায়, তিনজন মিলে তার উপর অত্যাচার করেছে। অভিযুক্ত তিন যুবকের একজন আবার নির্যাতিতার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর দাদা। দিশেহারা মা কী করবেন তা বুঝতেই একটা দিন চলে যায়। রবিবার তিনি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্কুলের ভিতর এমন ঘটনায় সকলে শিউরে উঠেছেন।

নির্যাতিতার মায়ের প্রশ্ন, ‘মেয়েকে তো পড়তে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে এমন হলো কেন? মেয়েরা স্কুলেও কেন নিরাপদ থাকবে না?’ স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সোমবারও স্কুলে আসেননি। তিনি ফোনে জানিয়েছেন, ‘অসুস্থতার জন্য শনিবার স্কুলে যেতে পারিনি। স্কুলে দ্বিতীয় কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী নেই। পাশের একটি প্রাইমারি স্কুলে চাবি রাখা ছিল।ওইদিনই পুলিশে জানানো হয় গোটা ঘটনাটি। এরপরই সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *