দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- এবার ইডির স্ক্যানারে টলিউডের অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তী। ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকবার আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। এদিকে তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন অয়ন শীলকে গ্রেফতার করার আগে তার হোয়াটসঅ্যাপে এক রহস্যময়ী আগে থেকে মেসেজ করেছিলেন ।সেই মেসেজে তিনি বলেছিলেন ইডি আসছে। সমস্ত তথ্য সরিয়ে ফেলো। পালিয়ে যাও।শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর এবার উঠে এল আর এক তরুণীর নাম। ইডির দাবি, অয়নের ঘনিষ্ঠ ওই বান্ধবীর নাম শ্বেতা চক্রবর্তী। অয়নের মোবাইল ঘেঁটে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শ্বেতা সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার দাবি, পেশায় মডেল শ্বেতার বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন। কয়েকদিন আগেই অয়ন বান্ধবীকে হোয়াটসঅ্যাপে লিখেছিলেন, বাড়ি থেকে সব ডকুমেন্ট সরিয়ে ফেল। টাকা-পয়সা যা আছে সব সরাও। যে কোনও সময় ইডির রেড হতে পারে। এই চ্যাট দেখেই ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন, অয়নের সঙ্গে শ্বেতার পরিচয় অনেক দিনের।তদন্তে তাঁরা জানতে পেরেছেন, অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোথা থেকে এত টাকা এসেছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
অয়নের যে ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হয়েছে তার একটি শ্বেতারও, এমনটাই দাবি ইডি আধিকারিকদের। শ্বেতা একটি হন্ডা সিটি গাড়িও কিনেছিলেন। সেই টাকা তিনি কোথায় পেলেন, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে ইডি। বাংলার বাইরে উত্তর-পূর্বের দু-একটি রাজ্যেও শ্বেতার নামে একাধিক রিসর্ট রয়েছে।শ্বেতা কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন৷ কবে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কীভাবে চাকরি হল, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি৷ পুরসভা সূত্রে খবর, গত শনিবার ইডি অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশিতে যাওয়ার পর থেকেই শ্বেতা আর কামারহাটি পুরসভায় তাঁর কর্মস্থলে আসেননি আসেননি৷ কানমারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে পুরসভার চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন শ্বেতা৷ নৈহাটির জেলেপাড়ার বাসিন্দা শ্বেতা।