দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-রাষ্ট্রপতি পদে বসার পর এই প্রথমবার বঙ্গ সফরে দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার সকাল ১১টা বেজে ৫৫ মিনিটে দমদম বিমানবন্দরে নামেন রাষ্ট্রপতি। হলুদ গোলাপ আর বাংলার শিল্পীদের তৈরি উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর সঙ্গী ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা এবং সুজিত বসু। বিমানবন্দরেই দ্রৌপদী মুর্মুকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। গার্ড অফ অনারের পর চপারে তিনি সোজা চলে যাবেন রেসকোর্স হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে সড়ক পথে সরাসরি রাজভবনে পৌঁছন দ্রৌপদী মুর্মু। কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে পৌঁছে যান এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাসভবনে।নেতাজি ভবনে থেকে রাষ্ট্রপতি পৌঁছে যান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, পর্যটন দপ্তরের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। ‘সোনার তরী’তে বিশ্রাম নিয়ে ঘুরে দেখেন ঠাকুরবাড়ি। মহর্ষি ভবনের তিনটি গ্যালারি ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি। সকলের ছবিতে প্রণাম করেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে রওনা দেন রাজভবনের দিকে। দুপুরে বিজেপি-র প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং পরে বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদেরও সাক্ষাতের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর বিকেলে রাজ্য সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার কথা রয়েছে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন রাষ্ট্রপতি। মঙ্গলবার ২৮ মার্চ সকালে তাঁর বেলুড়মঠে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে দ্রৌপদী মুর্মুর সম্ভাব্য গন্তব্য শান্তিনিকেতন। সেখানে বিনয় ভবন সংলগ্ন কুমিরডাঙা মাঠে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণ করার কথা।রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।শহরে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে।