Breaking News

সুজনের ১৩ আত্মীয়ের তালিকা প্রকাশ কুণালের!তথ্য সঠিক হলে তদন্তের দাবিও তৃণমূল নেতার

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বামফ্রন্ট আমলের চাকরি বিতর্ক প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ | এখন এই চিরকুটে চাকরি নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি | এবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর ১৩ জন আত্মীয়ের তালিকা প্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ | যদি ঠিক হয়, তাহলে তদন্ত হোক বলে টুইটে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র | পাশাপাশি ট্যুইটে সুজনের বিবৃতিও দাবি করেন তিনি | আগে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী এবং শ্বশুরের চাকরি–পদ নিয়ে নথি প্রকাশ করেন কুণাল | এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সুজনবাবুর পরিবারের সরকারি চাকরিপ্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক | তাঁর প্রশ্ন, “সুজনদা, এই তালিকা কি ঠিক?” যদিও কুণাল ঘোষের এই তালিকাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সুজন চক্রবর্তী| গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে বাম আমলের দুর্নীতি | অনেকেই অভিযোগ করেছে, বামেদের স্বজনপোষণ নীতির জন্য বহু যোগ্যরা চাকরি পাননি। দিন কয়েক আগেই এই টুইট করে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলিদেবী। তা নিয়ে বিস্তর কাঁটাছেড়া হয়েছে। শুক্রবার ফের একটি তালিকা প্রকাশ করলেন কুণাল। তাতে নাম রয়েছে ১৩ জনের। রয়েছেন সুজনবাবুর শ্বশুরমশাই অর্থাৎ এককালের দাপুটে সিপিএম নেতা শান্তিময় ভট্টাচার্য থেকে শুরু তাঁর ভায়রা, বোন-সকলেই।

শুক্রবার একটি তালিকা প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন টুইট করে তা তিনি প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন। সেই তালিকায় সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের কারা কোথায় চাকরি পেয়েছেন, সেসব তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। এই তালিকা টুইটারে প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, ‘সুজন’দা তালিকা কি ঠিক? যদি তা ঠিক হয়, তা হলে তার তদন্ত হোক।’‌ যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সুজন চক্রবর্তী। উপরন্তু তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‌শ্বেতপত্র প্রকাশ না করে ভুলে ভরা তালিকা কেন?’‌একের পর এক এমন তালিকা প্রকাশ্যে নিয়ে আসায় বিব্রত সুজন চক্রবর্তী। তবে তিনি নিজের দাবিতে অনড়। কোনও অনিয়ম হয়নি। এবার এই নয়া তালিকা প্রকাশ্যে আসায় তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‌আমি কোনও কেল্টু–বিল্টুর অভিযোগের জবাব দেব না। মুখ্যমন্ত্রী তো শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে। সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ হোক, তার পর কথা হবে। কিছু ভুলভাল জিনিস নিয়ে জনতাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা রাজ্যের ক্ষমতায় বসে ভবিষ্যৎকে খারাপ করে দিয়েছে, তারা অতীতকে টেনে এনে নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তকে ঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *