প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :-রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি নিয়ে জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে | আদালতের নির্দেশ,ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, রাজ্য সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে।হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরে গোলমালের ব্যাপারে ৫ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। আদালতের আরও নির্দেশ, সিসিটিভির এবং অন্যান্য সমস্ত ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে জমা করতে হবে। ৬ এপ্রিল মামলার শুনানির সম্ভাবনা।সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া এবং ডালখোলায় অশান্তি মামলার শুনানি হয়। মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, “পুলিশের অনুমতি নিয়ে মিছিল হয়েছিল। ৩০ মার্চের ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও জানান মামলাকারী। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পুলিশের উচিত কোনও নিরীহ মানুষ বিব্রত হচ্ছেন কিনা সেদিকে নজর রাখা। এলাকার শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান, দোকানবাজার যাতে বিনা বাধায় খোলা যেতে পারে, তাও নিশ্চিত করা উচিত রাজ্যেরই। আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রধান বিচারপতি ঘটনার রিপোর্ট তলব করেন।
আদালতে ওইদিনের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও আদালতে পেশের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। আগামী ৬ এপ্রিল মামলার শুনানির সম্ভাবনা। সোমবার আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার আদালতে জানান, ৩০ মার্চ হাওড়া এবং ডালখোলা পুলিশের অনুমতি নিয়েই রামনবমীর মিছিল করা হয়েছিল। পরে ওই মিছিল ঘিরে ব্যপক গোলমাল হয়। আইনজীবী জানান, এই ঘটনায় রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। রবিবার হুগলির রিষড়াতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ, ওই সব এলাকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিভঘ্ননম রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানানতে চান, বর্তমানে কী পরিস্থিতি সেখানকার? পুলিশ কেন আগে থেকে গোলমালের আঁচ পায়নি।ওই সব ঘটনায় কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আদালত তাও জানতে চায়। আদালতে এজি জানান, শিবপুরে শান্তিপূর্ণ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলকারীরা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে।হাওড়ার ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।