দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্য।কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবিতে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। অনশন, কর্মবিরতি-সহ একাধিক পদক্ষেপ নেন আন্দোলনকারীরা। তার ফলে রাজ্যের সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষতি হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয়।ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয়। আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যসচিব, অর্থসচিব-সহ দ্বায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কর্মচারী সংগঠনের তরফ থেকে তিনজনের নাম দিতে হবে। এই তিনজন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। হাইকোর্টের এই নির্দেশে সহমত পোষণ করেছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।আন্দোলনকারীদের তরফে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না, যদি রাজ্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিত৷ রাজ্য সরকারকে আমরা আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারা কর্ণপাত করেনি।
উল্টে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের চোর ডাকাত সম্বোধন করেছিলেন৷ এই অপমানের প্রতিবাদেই এদিনের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল৷’’ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রাপ্য ডিএ না পাওয়ায় আন্দোলনকারীরা কর্মবিরতির ডাকও দিয়েছেন। এর জন্য একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদেই হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।সেই মামলাতে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ১৭ এপ্রিল কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্যকে। সেই আলোচনায় যাতে কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ডিএ সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।