দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আন্দামান থেকে ফিরে সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এদিন জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়ে ফের তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। একই সঙ্গে দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে সাহস পাচ্ছে সিবিআই।সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন দিলীপ ঘোষ।সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর স্লোগান হচ্ছে এগিয়ে বাংলা। তাই সব ব্যাপারে এগিয়ে থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। এবার বাংলা দুর্নীতির রেকর্ড করবে। দেশের সব দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যাবে। শুধু দক্ষিণ নয়, উত্তরবঙ্গেও জাল ছড়ানো আছে। এক মন্ত্রী ও তার মেয়েকে নিয়ে কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সার্বিক ভাবে তৃণমূলের সমস্ত জায়গায় এই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে গিয়েছে।”দিলীপ ঘোষ মুখ খুলেছেন জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়েও।
তাঁর গ্রেফতারে কি সিবিআই হাইপার অ্যাক্টিভ হয়ে পড়েছে? এর উত্তরে দিলীপ বলেন, “এর আগে প্রাক্তন মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। সব থেকে শক্তিশালী নেতা, যিনি নিজেকে বাঘ বলতেন, তিনিও ধরা পড়েছেন। তখন আপনাদের হাইপার অ্যাক্টিভ মনে হয়নি? এখন প্রসেস চলছে। ভালোই হচ্ছে। হয়ত বড় বড় লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পাওয়া যাচ্ছিল না। এবার সাহস পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, বড় বড় লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। ঘাবড়ে যাবেন না। আপনাদের পাশে আমি আছি। এটা এতদিন কেউ বলার ছিল না। তাই এত দুর্নীতি হয়েছে। নেতাদের দেখুন। বড় ব্যবসায়ী, অফিসার, বিল্ডার, কে নেই! সবাই জড়িয়ে আছে। সবাই সাজা পাবে।”স্কুলে বাড়তি গরমের ছুটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামে পড়েছি। আমাদের সকালে স্কুল হত। জানি না এখানে কী সমস্যা। সারা বছর শিক্ষকরা দুয়ারে সরকার আর ধরনায় ব্যস্ত। পড়ানোর সুযোগ পান না। অর্ধেক শিক্ষক পদ খালি। এরকম অনেক স্কুলে আমি নিজে গিয়ে দেখেছি। তাই সুযোগ পেলেই ছুটি দিয়ে দাও। যারা শিক্ষক ছিল, তার মধ্যে আবার ভুয়ো শিক্ষক। তারা এখন ঘর বাড়ি ছেড়ে পলাতক। স্কুল ফাঁকা, কর্মী নেই, ঘণ্টা বাজানোর লোক নেই। আসল সমস্যা ওটাই। গরমটা অছিলা। একটা অছিলা দরকার ছিল। সিবিআই ধরপাকড়ের পর অর্ধেক স্কুল খালি হয়ে গেছে’।