প্রসেনজিৎ ধর :-জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তারপরেই দেহ বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনেরা। অভিযোগ, বাড়ি এনেই তাঁরা দেখেন শ্বাস নিচ্ছে পাঁচদিনের শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে আবার ভালুকা হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে পৌঁছলে শিশুটিকে চাঁচল হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাঁচল হাসপাতালের ডাক্তাররা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, কিছুক্ষণ আগে আনা গেলেই বাঁচানো যেত শিশুটিকে। এরপরেই ভালুকা গ্রামীণ হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভালুকা এলাকার গোবরা গ্রামের গ্রামের বাসিন্দা তপন মহালদার। তাঁর পাঁচদিনের শিশু বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্থানীয় ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার আই ফারানা ইয়াসমিন শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৎক্ষণাৎ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বাড়ির লোক শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে এলে দেখেন, শিশুটি চোখ খুলেছে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে। পুনরায় ওই শিশুকে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্য-কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁচোলে রেফার করেন।
সেখানে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।চাঁচোল মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, কিছুক্ষণ আগে নিলেই শিশুটিকে বাঁচানো যেত। এই ঘটনা জানার পরই শিশুটির আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ চলে ঘেরাও। তাঁদের অভিযোগ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসী ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আই ফারানা ইয়াসমিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁদের আরও দাবি, ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপযুক্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেই চিকিৎসক আইফারানা ইয়াসমিন জানান, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তার আগেই শিশুটি মারা গিয়েছিল। তবে গ্রামের মানুষ তা মানতে নারাজ। চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।