দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হানা। শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে সিবিআইয়ের একটি দল তেহট্টে কড়ুইগাছিতে পৌঁছয়। সঙ্গে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ইতিমধ্যেই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তাপস সাহার। যদিও পাল্টা তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভুল। শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বিধায়কের নদিয়ার কড়ুগাছির বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকেরা। তেহট্টের বিধায়কের বাড়ি এবং অফিস ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বাড়ির মূল ফটক বন্ধ করে বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর মোবাইল। মোট ৫টি গাড়িতে করে আসেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে তাপসের বাড়িতে গিয়েছেন ১২ জন তদন্তকারী। তাঁদের হাতে বেশ কিছু নথি রয়েছে। সিবিআইয়ের অভিযানের সময় বাড়ি লাগোয়া কার্যালয়ে ছিলেন তাপস। তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ঢুকেই সদর দরজা তালাবন্ধ করে দেন তদন্তকারীরা। তালাবন্ধ করে দেওয়া হয় বিধায়কের কার্যালয়ও। তল্লাশিতে রয়েছেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। তাপসের ২টি আলমারি খোলা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ফোন। তাপসের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন কর্মী, সমর্থক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
তদন্ত চলাকালীন তাপস সাহা বলেছেন, ‘‘আমার কাছে যা জানতে চাইবে আমি সব বলব। তদন্ত চলছে চলুক, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। সব রকম সহযোগিতা করছি এবং করব।’’ তল্লাশি অভিযানে তাপসের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর গাড়িচালক এবং নিরাপত্তারক্ষীও।সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর তাপস দাবি করেছিলেন, তিনি রাজনীতির শিকার। তাপস বলেছিলেন, ‘‘স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত! আমাদের একটাই অপরাধ যে, আমরা তৃণমূল করি।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমার দলের দু’এক জন বিজেপির সঙ্গে যৌথ ভাবে চক্রান্ত করে এটা করেছে। আমি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করব। বিজেপির সঙ্গে স্থানীয় ২ নেতানেত্রী যুক্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই নোংরামো করেছে।’’তাপসের গাড়িচালক মানব মণ্ডলকেও শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। গাড়ি নিয়ে কোথায় কোথায় যেতেন, গাড়িতে করে কেউ আসতেন কি না, গাড়িতে করে কোনও কাগজপত্র নিয়ে আসা হয়েছে কি না, এই নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।