দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বড় মুখ করে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের জাতীয় তকমা চলে যাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নাকি ৪ বার ফোন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | শুভেন্দুর এই দাবি ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবার সেই ঘটনাকে আরও টেনে নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিস্ফোরক এক ট্যুইট করলেন। জানালেন, শাহ নাকি শুভেন্দুকে এই গোটা ঘটনায় কড়া ভর্ৎসনা করেছেন।কুণাল ঘোষ একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে অমিত শাহের ধমক খাওয়ার তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। যদিও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কুণাল ঘোষের দাবি, ‘নিজের নাম জড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলায় শুভেন্দুর উপর ক্রুদ্ধ অমিত শাহ। তিনি ল্যান্ডলাইন থেকে ফোনে শুভেন্দুকে ভর্ৎসনা করেছেন বলে সূত্রে খবর। তিনি নাকি বলেছেন, নিজেরা বাংলায় কিছু করতে পারো না। কেবল এজেন্সির ভরসায় নাচো।
এখন আবার আমার নাম জড়ালে! এসব চলবে না।কুণাল ঘোষের তথ্য যদি সত্য হয় তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে খারাপ হল। আর ভরসার জায়গা নষ্ট হল বিরোধী দলনেতার। তিনি অবশ্য এখনও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। উল্টে বিরোধী দলনেতার দাবির প্রেক্ষিতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন বলেছিলেন। সেখানে কোনও প্রমাণ বাংলার মানুষকে দিতে পারেননি শুভেন্দু। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি এখন বিরোধীদের অভিযোগকেই প্রামাণ্য তথ্য হিসাবে তুলে ধরছে। যা কার্যত শাহের ও কেন্দ্র সরকারের মুখ পোড়াচ্ছে। এই ঘটনায় শাহের নামও জড়িয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। আর তাতেই নাকি রীতিমত ক্ষুব্ধ শাহ। সেই সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে এটাই জানা গিয়েছে, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় যেভাবে শুভেন্দু ভরা হাটে সামনে এনেছেন তাতেও নাকি খুবই ক্ষুব্ধ শাহ।