প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-বুধবার সকালে দিল্লি উড়ে গেলে বিজেপি-র সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ।আজ, বুধবার সকালে নয়াদিল্লি রওনা হয়েছেন বিজেপি’র শীর্ষ নেতা দিলীপ ঘোষ। আর নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এগরা বিস্ফোরণ নিয়ে কথা বলেন তিনি। সেখানে রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ আগেও হয়েছে। আমি তার মধ্যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি। কয়েক বছর আগে পিংলায় একই ঘটনা ঘটেছিল।
তখন বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবারও তাই হয়েছে। প্রায় ২২ জন ওখানে কাজ করছিল। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কজনকে পাওয়া গিয়েছে বা যায়নি, নিশ্চিত নয়’।
তিনি আরও বলেন,‘অনেকে বলছে পুকুরে বডি ফেলে দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছিল যুদ্ধের সময় যেমন বোমা পড়ে, ওখানে যেন তেমন কিছু একটা হয়েছে। কারা করছে? কেন করছে? কি করে চলছে? যে লোক কিছুদিন আগে গ্রেফতার হয়েছিল, তাকে পুলিস ছেড়ে দিয়েছে | সে আবার একই কারবার করছে!’ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি বলছেন, সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। আগে বিজেপির পঞ্চায়েত ছিল না। ওনাদের পঞ্চায়েত ছিল। মানুষ ক্ষেপে গিয়ে সেই পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়েছে। এখন সেখানে নির্দল পঞ্চায়েত প্রধান। এই সমাজবিরোধী ও দেশ বিরোধি কাজ, এখানে পুলিশ কোথাও না কোথাও যুক্ত। নাহলে কমপ্লেন করার পরেও পুলিশ কিছু করে না কেন? তার মানে পুলিশের ওপর পলিটিক্যাল প্রেসার আছে। তাই আজ পুলিশ আক্রমণের শিকার’।দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘এই ধরনের বিস্ফোরক যেখানে আছে, সেটা অন্য কোনও কাজে লাগতে পারে। সবাই বলছে, গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ওখান থেকেই বোমা সাপ্লাই হত। তাই গোটা বিষয়টা নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত প্রয়োজন। ছোট ব্যাপার বলে এড়িয়ে গেলে চলবে না। এর পিছনে বড় চক্রান্ত বা বিদেশি মদত থাকতে পারে’।